সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জনজীবন। গত কয়েক দিনে লোডশেডিং বেড়েছে কয়েকগুণ। দিনে এক ঘণ্টা পর আর রাতের বেলা চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় লোডশেডিং হয়। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে উপজেলার হাজারও মানুষ। এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ তাড়াশ জোনাল অফিসের দাবি ৩৩ কেভির পুরানো লাইন মেরামতে কাজ চলায় সরবাহ কমে লোডশোডিং চলছে।
রাত-দিন অনবরত লোডশেডিংয়ে জীবনযাপন হয়ে উঠেছে অসহনীয় কষ্টের। প্রচন্ড রোদের কারণে মানুষজন প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বের হলেও শান্তি মিলছে না ঘরেও। কারণ একটাই-বিদ্যুতের ঘন ঘন আসা-যাওয়া। আর বিষয়টি এখন নিত্যনৈমত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। মধ্যরাত কিংবা ভোরেও বিদ্যুৎহীনতার যন্ত্রণা পোহাতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ঘটছে ছন্দপতন।
তাড়াশ পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার (ডিজিএম) মো শামসুজ্জামান জানান, সিরাজগঞ্জ শিয়ালকোল ৩৩ কেভি ষ্টেশন থেকে সিরাজগঞ্জ রোড পর্যন্ত ১৫-২০ কি.মি. পুরোনা লাইন মেরামতে ৩টি টেন্ডারে কাজ চলমান রয়েছে। বিকল্প ভাবে শাহজাদপুর তাড়াশ বিদ্যুতের চাহিদা ১২ মেগাওয়াট। আমরা পাচ্ছি ৩ মেগাওয়াট। ফলে চার ভাগের ১ ভাগ পাওয়া যাচ্ছে। যা দিয়ে কোন রকমে চলছে। তিনি আরও বলনে, মেরামতের সময় ৩৩ কেভি বন্ধ ও চালু করতে ১০-১৫ মিনিট সময় লাগে এবং অন্যান্য কারণে একাধিক বন্ধ হওয়ায় প্রতিদিনই কিছু স্থানে বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে।
মতামত