সারাদেশ

তাহিরপুর সীমান্তে কয়লা কুড়াতে শ্রমজীবী মানুষের হিড়িক

তাহিরপুর সীমান্তে কয়লা কুড়াতে শ্রমজীবী মানুষের হিড়িক

প্রকাশিত : ৫ জুন ২০২৫, রাত ৯:২৪

ভারতের মেঘালয় থেকে পাহাড়ি ঢলের পানিতে নেমে আসা বালি মিশ্রিত কয়লা কুড়াতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত এলাকায় শ্রমজীবী মানুষের হিড়িক পড়েছে। 


সম্প্রতি তাহিরপুর সীমান্ত এলাকার রূপের নদী যাদুকাটা,কলাগাও, বড়ছড়া ও চারাগাও এলাকায় গেলেই দেখা মিলবে ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে ঢলের পানির সাথে ভেসে আসা বালি মিশ্রিত কয়লা কুড়াতে হাজার হাজার শ্রমজীবী নারী-পুরুষ ব্যস্ত সময় পার করছে। 


গেল কয়েকদিন ধরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়ি এলাকায় একাধারে ভারী বৃষ্টি হওয়ায়।আর এই উজানের পাহাড়ি বৃষ্টির পানি উপজেলার সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন ছড়া দিয়ে নিচে নেমে আসে। এর সাথে নেমে আসে বালিমিশ্রিত কয়লা।আর এসব কয়লা কুড়াতেই উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় শ্রমজীবী মানুষের হিড়িক,এমন চোখ জোড়ানো দৃশ্যের ছবি ও ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হতেও দেখা গেছে। ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা গেছে কয়লা কুড়ানোর কাজে ব্যস্ত থাকা নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের সাথে শিশুরাও কর্মব্যস্ত রয়েছে। এসব কর্মব্যস্ত শ্রমিকদের মধ্যে কারো হাতে বেলচা ও চালনি আবার কেউ কেউ কোদাল দিয়ে বালি কুড়ে কয়লা তুলে ছোট ছোট মশারী নেট জালের তৈরি জাল দিয়ে বালি পরিস্কার করে জায়গাতেই স্তুপ করে রাখতে দেখা গেছে। 


জানাযায় উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের পানির সাথে বালিমিশ্রিত এসব কয়লা উত্তোলন করে বস্তাবন্দি করে বাড়িঘরে সংগ্রহ করে রাখেন।যাহা স্থানীয়রা বাংলা কয়লা বলেই ডাকেন। সংগৃহীত এসব বাংলা কয়লা একশ্রেণির স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্রয় করে থাকেন।তখনই চলে আসে যতসব বাধাবিপত্তি কম দামে ক্রয় করতে স্থানীয় রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী সিন্ডিকেট মহলের থাবা।মাঝেমধ্যে এসব কয়লা বিক্রি করতে স্থানীয় প্রশাসনের বাধার মুখেও পড়তে হয় এসব শ্রমিকদের।জানাযায় উজান থেকে ঢলের পানি নামলেই একজন শ্রমিক দিনভর কষ্ট করে বালু কুড়িয়ে ৪-৫ বস্তা কয়লা সংগ্রহ করতে পারেন।সিন্ডিকেট ও বাধাবিপত্তি না থাকলে ন্যায্য মূল্য পেলে বস্তা প্রতি ৪০০-৫০০ টাকা পেয়ে থাকবেন। 


এ বিষয়ে উপজেলা সীমান্তের চারাগাঁও এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক কয়লা শ্রমিক জানান এই সময়টাতে উজানের ঢলের পানিতে অনেক কয়লা নেমে আসে আমাদের এলাকায়। এসব কয়লা কুড়াতে আমরা নিম্ন আয়ের অনেকেই ব্যস্ত হয়ে যাই।বালি কুড়ে এসব কয়লা তুলে বস্তাবন্দি করে নিজেদের বাড়িঘরে রাখার পড়ে বিক্রি করতে গিয়েই বাধাবিপত্তিতে পড়তে হয় আমাদের স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট ও রাজনৈতিক মহল এবং প্রশাসনের।