শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত দেশের সর্বোবৃহৎ বিল চলনবিল। টানা কয়েক দিনের ভারি বষর্ণে চলনবিলের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রাই ও নাগর নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই অঞ্চলের লক্ষাধিক কৃষক এখন ফসল ঘরে তোলা নিয়ে আতঙ্কিত।
উজানের ঢলের পানি নাগর নদীর সারদানগর বাঁধ দিয়ে চলনবিলে প্রবেশ করে প্রায় চলনবিলের সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নাদোসৈয়দপুর, হামকুড়িয়া, শ্যামপুর, মাগুরা বিনোদ, কুন্দইল, কুশাবাড়ি, কাঁটাবাড়ি, লালুয়ামাঝিড়া, মাকোরসোন, কামাসোন,
বুধবার ( ৪ জনু ) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গিয়েছে, আবহাওয়া অপরদিকে আগাম বন্যার পানি জমিতে ঢুকে পড়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অন্য দিকে অবিরাম বৃষ্টির কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকরা মাঠে পাকা ধান কাটতে পারছে না। সব মিলিয়ে চলনবিলের কৃষকের মনে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মাগুরা বিনোদ, শ্যামপুর, নাদোসৈদপুরসহ এলাকার স্থানীয়রা জানান, উপজেলায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে কারণ প্রভাবশালীরা এলাকায় খাল বন্ধ করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছে। অপরদিকে পুকুর খনন করায় পানি নিষ্কাশনের ব্রিজের মুখ বন্ধ করাসহ পানি বের হতে না পেরেই ধানী জমিগুলতে বৃষ্টিতে ডুবে যাচ্ছে। এতেই কৃষকের স্বপ্নগুলো পানিতে ভাসছে।
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে উপজেলার প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণ পানিতে তলিয়ে গিয়েছে। আর য়ারা নিচু খাল অথবা ক্যানেলে বোরো ধান চাষ করেছেন শুধু তাদের ধানই তলিয়ে গেছে। তবে রোদ হলে জমে থাকা বৃষ্টির পানি শুকিয়ে যাবে।
মতামত