সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চাঁদা না পেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে উপজেলার পশ্চিম সীমান্তবর্তী ধামাইচ বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীর নাম মো. মোসাব্বির হোসেন (২২)। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, ঈদের ছুটিতে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মসিন্দা বাহাদুরপাড়ার এলাকায় নিজ বাড়িতে যান শিক্ষার্থী মোসাব্বির। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি তার বাবার মোটরসাইকেল নিয়ে পার্শ্ববর্তী ধামাইচ বাজারে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী একই গ্রামের বাসিন্দা ও ধামাইচ বাজারের ব্যবসায়ী সাগর হোসেন (২৬), তার বাবা জব্বার মন্ডল (৪৫) ও তার চাচা বোরহান মন্ডল (৪০) মিলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পথরোধ করেন। এ সময় তারা ওই শিক্ষার্থীর কাছে থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তবে চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা প্রথমে শিক্ষার্থী মোসাব্বিরের কাছ থেকে মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হলে সংঘবদ্ধভাবে তারা মোসাব্বির হোসেনের উপর লাঠি ও ইট দিয়ে আঘাত করে তাকে আহত করেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় তাড়াশ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী মোসাব্বির হোসেনে জানান, এ ঘটনার আগে ওই সন্ত্রাসীচক্রটি আমার স্কুল শিক্ষক বাবার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিলো।
চাঁদা না দেওয়ায় তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। সন্ত্রাসীরা যে কোনো সময় আবারও হামলা করতে পারে।
তবে চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ব্যবসায়ী সাগর। তিনি বলেন, চাঁদার দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
মূলত ২০১৪ সালে মোসাব্বির হোসেনের বাবা মো. আলমগীর হোসেন আমাদের থেকে এক লাখ টাকা ধার নেয়। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি সে টাকা না দিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকেন। গতকাল মোটরসাইকেলযোগে তার ছেলে মোসাব্বির হোসেন বাজারে আসলে আমরা মোটরসাইকেলটি আটকে রেখে বিচার চেয়ে বাজার কমিটির কাছে জমা দিয়েছি। বর্তমানে মোটরসাইকেলটি বাজার কমিটির হেফাজতে রয়েছে।
শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মতামত