ঈদে টানা ১০ দিন ‘হিলি স্থলবন্দর বন্ধ’, খোলা থাকবে ‘যাত্রী পারাপার’ পথ

মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিন বন্ধ থাকবে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। তবে সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত অন্যান্য দিনে বন্দর এলাকায় পণ্য লোড-আনলোড কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে।

আজ বুধবার (৪ জুন) হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ীদের পারস্পরিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে শনিবার (১৪ জুন) পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দরে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ঈদের ছুটি শেষে আগামী ১৫ জুন (রোববার) থেকে যথারীতি বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।

তবে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এই সময়ে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পারাপার কার্যক্রম চালু থাকবে।

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, “ঈদের ছুটিতে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও হিলি ইমিগ্রেশন দিয়ে দুই দেশের বৈধ পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে। এ কার্যক্রম পরিচালনায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। ঈদের দিন থেকে শুরু করে সব দিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টে যাত্রী পারাপার কার্যক্রম চালু থাকবে।”

হিলি স্থলবন্দর পরিচালনাকারী পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার অশিত স্যানাল এর তথ্য মতে, সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা বন্দর দিয়ে ১০দিন আমদানি রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছেন। তবে ঈদ উপলক্ষে সরকারি ছুটি ব্যতীত অন্যান্য দিন বন্দরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম চালু থাকবে। 

প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষে সীমান্তবর্তী এলাকা হিলি স্থলবন্দরে এমন ছুটির সময়সূচি নির্ধারণ করে থাকেন উভয় দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো। এতে করে ব্যবসায়ীরা তাদের কর্মীদের ঈদের ছুটি কাটানোর সুযোগ করে দিতে পারেন। তবে চেকপোস্টের মাধ্যমে যাত্রী চলাচল চালু রাখার ফলে দুই দেশের মধ্যে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে।

জেএইচ/এমটিএন