কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এনজিও সংস্থার ধারা পরিচালিত স্কুলে রোহিঙ্গা শিক্ষক রেখে স্থানীয় নারী-পুরুষ ১২৫০ জন শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।
শনিবার (৩১ মে) দুপুরের দিকে উখিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ভুক্তভোগী নারী-পুরুষ শিক্ষকরা এক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
জানা যায়, উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনিসেফ এর সহায়তায় এনজিও সংস্থা ব্র্যাক, কোডেক,ফ্রেন্ডশিপ, মুক্তি কক্সবাজার, কোস্ট ফাউন্ডেশন, জেসিএফ ধারা পরিচালিত স্কুল গুলোতে স্থানীয় ও রোহিঙ্গা শিক্ষকরা চাকরি করেন। তারা রোহিঙ্গা শিশুদের বার্মিজ ও ইংরেজি ভাষায় পাঠদান করে যাচ্ছেন সেই ২০১৭সন থেকেই।
হঠাৎ করে অর্থ সংকট দেখিয়ে এই এনজিও গুলো রোহিঙ্গা শিক্ষকদের চাকরিতে রেখে স্থানীয় ১২৫০ জন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করেছেন। এবং আরও ৩ হাজার শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ভুক্তভোগী স্থানীয় শিক্ষকরা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে চাকরি ফিরিয়ে দিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষকদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ শামীম হোসেন বলেন, এনজিও সংস্থা ব্র্যাক, কোডেক,ফ্রেন্ডশিপ, মুক্তি কক্সবাজার, কোস্ট ফাউন্ডেশন, জেসিএফ ধারা পরিচালিত স্কুল গুলো থেকে এখন ১২৫০ জন শিক্ষককে অর্থ সংকট দেখিয়ে চাকরিচ্যুত করেছেন।
কিন্তু রোহিঙ্গা শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করেনি। রোহিঙ্গা শিক্ষকরা যদি চাকরি করতে পারে তাহলে আমরা কেনো পারবোনা।সে জন্য আজকে আমরা ভুক্তভোগী শিক্ষকরা উখিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছি।
আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে যে সকল শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদেরকে পূণরায় বহাল করতে হবে।যদি বহাল না করা হয় আগামীকাল থেকে উখিয়া -টেকনাফ সড়কে এনজিও সংস্থার গাড়ি আটকানো হবে এবং উখিয়া ও টেকনাফে এনজিও -আইএনজিওর সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার হুশিয়ার দেন।
এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সরোয়ার জাহান চৌধুরী বলেন, তহবিল সংকটের কারনে স্থানীয়দের চাকরি না থাকলে আশ্রয় দেওয়া রোহিঙ্গাদের শিক্ষা প্রকল্প বন্ধ করতে হবে।
এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম মুঠোফোন রিসিভ না করার কারনে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কক্সবাজার শরনার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, অর্থ সংকটের কারনে এডুকেশন প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আগামী রোববার সকালে ইউনিসেফের সাথে একটি বৈঠক আছে।
মতামত