সারাদেশ

তাড়াশে থেমে নেই চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই গরু পাহারা দিতে রাতে গোয়ালঘরে থাকছেন মালিকেরা

তাড়াশে থেমে নেই চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই গরু পাহারা দিতে রাতে গোয়ালঘরে থাকছেন মালিকেরা

ছবি : সংগীত


প্রকাশিত : ৩০ মে ২০২৫, বিকাল ৪:০০

গত ৫ই আগস্টের পর থেকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বেড়েছে একের পর এক  চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি। প্রতি রাতেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কোথাও না কোথাও ঘটছে এসব ঘটনা। দেখার যেন কেউ নেই। কারো গোয়ালের গরু নেই, নেই ঘরের আসবারপত্র ও স্বর্ণালঙ্কার। টাকা পয়সা যা পাচ্ছে তাই হাতিয়ে নিচ্ছে চোর-ডাকাতের চক্ররা। এই নিয়ে আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ।

জানা যায়, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে  কৃষকের গৃহপালিত গরু গোয়াল ঘর থেকে চুরি, মানুষের ঘরে ঢুকে লুটপাটসহ চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেছে প্রতিনিয়ত।

গত দুই মাসে তালম ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ১০-১৫টি গরু, দেশীগ্রাম  ইউনিয়নে ৭টি গরুচুরিসহ ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ও বিভিন্ন গ্রাম থেকে অন্তত ৫০টি গরু চুরি হয়েছে। ডাকাতির ঘটনাও ঘটে দু\'একটি।

প্রতি রাতেই কোনো না কোনো কৃষক বা খামারির বাড়িতে হানা দিচ্ছে চোরের দল। ফলে চরম আতঙ্কে রয়েছেন তারা। কষ্টে পালিত গরু রক্ষায় অনেকে গোয়ালঘরেই কাটাচ্ছেন নির্ঘুম রাত।

জানা যায়, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে তাড়াশ উপজেলার মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কিছু লাভের আশায় ১০-২০টি গরু বিভিন্ন স্থান থেকে কিনে এনে অস্থায়ী গোয়াল ঘর তৈরি করে লালন পালন করে।অপরদিকে কৃষকেরা তাদের গৃহস্থলে ৪-৫টি গরু লালন পালন করে প্রস্তুত করেন কোরবানি ঈদে বিক্রি করার জন্য। এসব গরু পালন করে অনেকে সাবলম্বীও হয়েছেন। কিন্তু কোরবানি ঈদ সামনে রেখে উপজেলায় গরু চোরের উপদ্রব বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। এইদিকে প্রতি রাতে তাড়াশ  উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের টহল অভিযান দেখা গেলেও কমছে না চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই। পুলিশের দৃশ্যমান উপস্থিতি না থাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চোরের সিন্ডিকেট।

তাড়াশ থানার  অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো জিয়াউর রহমান জানান,  উপজেলার যে সমস্ত এলাকায় গরু চুরির ঘটনা ঘটছে।  প্রত্যন্ত অঞ্চলের ঘটনা। এখানের প্রায় গরু বাহিরে বাঁধা থাকে। কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকেনা। রাতের আঁধারে এসব গরু নিয়ে গেলে তা খুঁজে পাওয়া মুশকিল।

ডাকাতির বিষয়ে বলেন, আমরা ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছি। বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। প্রতি রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এসব ঘটনার তদন্ত ও অপরাধীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলমান। আতঙ্কিত না হয়ে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।