বিএনপি

আজ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী

আজ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী

ছবি : আজ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী


প্রকাশিত : ৩০ মে ২০২৫, দুপুর ১২:০৮

আজ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী  

আনোয়ার হোসেন 

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়া শিবগঞ্জে নানান কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন করছে। 

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক এবং বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট। দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ও বেদনাদায়ক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়।

১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে দেশি-বিদেশি চক্রান্তে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য তাকে হত্যা করে। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন।

তিনি দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা। জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় থাকাকালীন বিএনপি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়।

প্রতি বছর ৩০ মে দিনটি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী হিসেবে পালন করে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠন। এ বছর এ উপলক্ষে টানা ৮ দিনের কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। 

গত ২৬ মে থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি চলবে আগামী ২ জুন পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপি\'র  আলোচনা সভা, কালো ব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন, মসজিদে দোয়া মাহফিল, দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য ও বস্ত্রসামগ্রী বিতরণ রয়েছে।

শুক্রবার শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মীর শাহে আলম দুপুর  ১২:০০টায় মহাস্হান মাজার মসজিদে জুমার নামাজ আদায় ও বাদ জুম্মা মহাস্হান মসজিদে শহীদ জিয়ার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া  ও মাজার চত্বরে দুঃস্হদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে। বিকাল ৩:৩০ টায় শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের দেওয়ানতলা মাজার মসজিদ, শিবগঞ্জ কেন্দ্রীয় বরকতিয়া জামে মসজিদ পরিদর্শন শেষে বিকাল ৫:০০ টায় শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহীদ জিয়ার শাহাদত বার্ষিকীর আলোচানা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকাল থেকে জাতীয়তাবাদী বিএনপি শিবগঞ্জ উপজেলা কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। নেতা-কর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেন।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া খালকাটা কর্মসূচি, সবুজ বিপ্লব, শিল্প উন্নয়ন এবং যুগোপযোগী ও আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা রাখেন। নারী সমাজের উন্নয়ন ও শিশুদের বিকাশে তার আগ্রহ জাতিকে নতুন দিকনির্দেশনা দেন। তার সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেম ছিল অতুলনীয়।

দেশকে যখন তিনি সামনের দিকে নিয়ে চলতে শুরু করেন সেই সময়ে তার বিরুদ্ধে শুরু হয় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র। ১৯৮১ সালের ২৯ মে তিনি এক সরকারি সফরে চট্টগ্রামে যান। ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে গভীর রাতে একদল সেনাসদস্য তাকে হত্যা করে। বিপথগামী সেনাসদস্যরা তার লাশ চট্টগ্রামের রাউজানের গভীর জঙ্গলে কবর দেয়। তিন দিন পর ওই লাশ উদ্ধার করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়, লাখ লাখ শোকার্ত মানুষ শেরেবাংলা নগরে তার জানাজায় শরিক হন। পরে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে তাকে সমাহিত করা হয়।