\'আকাশে মেঘ ডকলেই এখন ভয় লাগছে। এই বুঝি ঝড় উঠবে। বৃষ্টি আসবে। কারেন্ট চলে যাবে। পরের দিন দোকান বন্ধ রাখতে হবে।\' এই কথা গুলো বলছিলেন চা দোকানি নির্মল কুমার।
নওগাঁর নিয়ামতপুরে গত শুক্রবার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার বেশিরভাগ অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাস্তা ও বাড়ির পাশের গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুতের লাইন ছিড়ে ও খুঁটি ভেঙ্গে পড়ে। এতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়। উপজেলায় ২০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। ২০ ঘণ্টা পরে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হলে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হয়নি। এতে করে খাবার পানির জন্য হাহাকার শুরু হয়ে যায়। ভোগান্তি পোহাতে হয় লোকজনকে।
উপজেলার ভাবিচা গ্রামের চা দোকানি ইসমাইল হোসেন বলেন, শুক্রবার রাতের ঝড়ে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে শনিবার সারাদিন চা স্টল বন্ধ রাখতে হয়েছে।
আরেক চা দোকানি নির্মল কুমার বলেন, এখন আকাশে মেঘ ডকলেই ভয় লাগছে। এই বুঝি ঝড় উঠবে। কারেন্ট চলে যাবে। পরের দিন দোকান বন্ধ রাখতে হবে। আতঙ্কের মধ্যে আছি।
গৃহবধূ বেবি রানী বলেন, ২৪ ঘণ্টা পরে আমাদের গ্রামে কারেন্ট এসেছে। কিছু খাবার পানি ছিল। পুকুরের পানি এনে থালাবাসন ধোয়া-মোছাসহ গৃহস্থালির অন্যান্য কাজ সারতে হয়েছে।
নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ নিয়ামতপুর শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মেশবাহুল হক বলেন, গত শুক্রবার রাতের ঝড়ে বিদ্যুতের অনক খুঁটি, তার, মিটার ছিড়ে যায়। তাদের পল্লী বিদ্যুতের টিমসহ নওগাঁ ও জয়পুরহাট থেকে আসা সকল সদস্য বিভিন্ন এলাকায় দিনরাত নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে শনিবার বিকেলে মেইন লাইন চালু করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া সম্ভব হয়।
মতামত