অপরাধ

নরসিংদীতে ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলার চার আসামি গ্রেফতার, উদ্ধার ২৪০টি মোবাইল

নরসিংদীতে ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলার চার আসামি গ্রেফতার, উদ্ধার ২৪০টি মোবাইল

প্রকাশিত : ২৭ মার্চ ২০২৫, রাত ৯:৫০

নরসিংদীতে ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলার চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান।

গত ২৪ মার্চ মনোহরদী থানায় একটি ডাকাতির মামলা দায়ের করেন নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি কোম্পানির ডিলার অয়ন কুমার দাস। 

মামলায় উল্লেখ করা হয়, মেসার্স অয়ন ট্রেডিং-এর ডেলিভারি ম্যান কিরন হোসেন (২৪), মেহেদী মৃদুল (১৯) ও ড্রাইভার মো. পলাশ মিয়া (২৭) মনোহরদী থানার চালাকচর ও লেবুতলা ইউনিয়নের বিভিন্ন দোকানে নেসলে কোম্পানির পণ্য সরবরাহ করে ফেরার পথে লেবুতলা ইউপির গজারিয়া সুইজ গেট এলাকায় ডাকাতদের হামলার শিকার হন।

অজ্ঞাত ৭-৮ জন ডাকাত একটি সাদা মাইক্রোবাসে এসে রাস্তায় ব্যারিকেড দেয় এবং চাইনিজ কুড়াল ও চাপাতি দিয়ে মিনি কাভার্ডভ্যান ভাঙচুর করে। তারা ২,৩৮,৭০০ টাকা ও ৩টি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়।

ডাকাতির ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নানের নির্দেশে শিবপুর মডেল থানার সার্কেল এএসপি মো. রায়হান সরকারের নেতৃত্বে মনোহরদী থানার ওসি আব্দুল জব্বার অভিযান চালান। তদন্তে উঠে আসে, এটি ছিল সাজানো ডাকাতির ঘটনা। পরে দুই ডেলিভারি ম্যান ও ড্রাইভারকে আটক করা হয় এবং লুট হওয়া টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

২৫ মার্চ মনোহরদী থানার চর মান্দালিয়া এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সুমন মিয়া (৪২)। ঘটনার পর ভিকটিমকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে ভিকটিমের বড় বোন মৌসুমী আক্তার থানায় অভিযোগ দায়ের করলে মামলা রুজু করা হয়।

বুধবার রাতে অভিযুক্ত সুমন মিয়াকে গ্রেফতার করে মনোহরদী থানা পুলিশ। তিনি চর মান্দালিয়ার জয়নাল মিয়ার ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত দুই মাসে নরসিংদীর বিভিন্ন থানায় সাধারণ ডায়েরির (জিডি) ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ২৪০টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সেগুলো প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নরসিংদী জেলা পুলিশের এ ধরনের কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা আশা প্রকাশ করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের এমন ভূমিকা অব্যাহত থাকবে।