নওগাঁর পোরশা হালাইহুলাই গ্রামে গরুর ভাইরাসজনিত রোগ ‘ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ’ ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে আতঙ্কিত ও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন গরু খামারীরা পালনকারীরা। এ রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিশেধক বা ভ্যাকসিন না থাকায় খামারীদের মধ্যে আরো আতঙ্ক বেড়েছে গেছে।
উপজেলার বড়গ্রাম হালাইহুলাই গ্রামের গরু পালনকারী শরীফ উদ্দিনের ছেলে কামাল হোসেন জানান, তার একটি গরুর খামার রয়েছে। হঠাৎ করে তার ৩ টি গরু আক্রান্ত হলে তাৎক্ষনিক চিকিৎসা দেওয়ার পরেও গরুগুলি মারাগেছে। এতে তার প্রায় দুই লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে তার খামারে ৮ টি গরু আক্রান্ত রয়েছে।
তিনি জানান, প্রথমত আক্রান্ত গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে যাচ্ছে এবং দু-একদিনের মধ্যেই ফোলা স্থান থেকে মাংশ খুসে পড়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও গরুর সারা শরীর জুড়ে অসংখ্য গুটি গুটি ফোলা স্থানে ঘা হয়ে যাচ্ছে। এ সময় গরুর শরীরে ১০৪ থেকে ১০৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় জ্বর থাকছে। ফলে আক্রান্ত গরু কোনো কিছু খাচ্ছে না। এরই মধ্য হঠাৎ করে আক্রান্ত গরুটি মারা যাচ্ছে।
একই কথা জানালেন, ওই গ্রামে মফিজ উদ্দিনের ছেলে আলম ও তৈবুরের ছেলে মোশারফ হোসেন। উতো মধ্যে তাদের দুইটি করে গরু আক্রান্ত হয়েছে বলে জানান। তারা প্রানী সম্পদ দপ্তর কতৃপক্ষের কাছে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনরোধ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ন কবির জানান, উপজেলা প্রতিটি গ্রামে এ রোগটি এক-দুটি গরুর মধ্যে দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে তারা অবগত আছেন। ইতোমধ্যে এ রোগের প্রতিশেধক হিসাবে “গোট পকস্” নামে একটি ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে চাহিদা পঠানো হয়েছে। ভ্যাকসিনটি পেলেই আমরা আক্রান্ত গুরু গুলিকে প্রয়োগ শুরু করবো।
আরও পড়ুন: নওগাঁসহ বিভিন্ন উপজেলায় ঔষধ ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ রেখে সকাল-সন্ধা প্রতিকী ধর্মঘট
মুন টাইমস নিউজের এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
মতামত