সারাদেশ

পিরোজপুরে দুর্নীতির দায়ে ৩ প্রকৌশলীসহ ৫ জন বরখাস্ত

পিরোজপুরে দুর্নীতির দায়ে ৩ প্রকৌশলীসহ ৫ জন বরখাস্ত

প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রাত ৯:২২

পিরোজপুরে দুর্নীতির অভিযোগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (LGED) তিন প্রকৌশলীসহ পাঁচজনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। 

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক ঘোষণার মাধ্যমে তাদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত জানায় দপ্তরটি।

দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা একেএম মো. মোজাম্মেল হক খান, পিরোজপুর সদর উপজেলার সাবেক প্রকৌশলী মো. মোরশেদ সরকার, নাজিরপুর উপজেলার সাবেক প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মিয়া, ভাণ্ডারিয়া উপজেলার সাবেক প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম এবং নেছারাবাদ উপজেলার প্রকৌশল অফিসের সার্ভেয়ার মো. রিপন হাওলাদার।

জানা গেছে, গত পাঁচ বছরে পিরোজপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও পিরোজপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন মহারাজ এবং তার ভাই ভাণ্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিরাজুল ইসলাম মিরাজ বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তায় প্রকল্পের কাজ না করেই প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এর আগে, দুর্নীতির অভিযোগে এলজিইডির পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সত্তারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা দায়ের করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নাজিরপুর উপজেলার সাবেক প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে স্থানীয়রা একাধিকবার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, প্রকৌশলী জাকির হোসেন মিয়ার সহযোগিতায় পিরোজপুর-২ আসনের সাবেক এমপি মহিউদ্দিন মহারাজ ও তার ভাই মিরাজুল ইসলামের মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দকৃত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ না করেই পুরো অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে। 

এর মধ্যে নাজিরপুর-বৈঠাকাটা রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ না করেই বরাদ্দকৃত টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে, একইভাবে নাজিরপুর-চর রঘুনাথপুর সড়কের সামান্য কাজ করেই পুরো অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে। এভাবে জেলার বিভিন্ন স্থানে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ না করেই প্রকৌশলীদের সহায়তায় সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সাবেক উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তবে বরখাস্ত হওয়া অন্যদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।