শিক্ষাঙ্গন

ইবির সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি জুবাইর, সম্পাদক মাসুদ

ইবির সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি জুবাইর, সম্পাদক মাসুদ

প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সন্ধ্যা ৬:৪৯

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

 নতুন কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আলী আহসান মুহাম্মদ জুবাইর এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আল-মাসুদ হোসেন।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসির ১১৬ নম্বর কক্ষে আয়োজিত তিন দশক পূর্তি অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সভাপতি আবু সোহানের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন, দা’ওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোলায়মান এবং অধ্যাপক ড. আ. ছ. ম. তরীকুল ইসলাম। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন রেদোয়ানসহ বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হয়। এরপর নবীন শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট, কলম, ক্যালেন্ডার ও চাবি রিং দিয়ে বরণ করা হয় এবং প্রবীণ শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সম্মাননা স্বরূপ ক্রেস্ট, কলম ও ক্যালেন্ডার প্রদান করা হয়। এছাড়াও অন্যান্য শিক্ষার্থীদের উপহার হিসেবে ক্রেস্ট, কলম ও ক্যালেন্ডার দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, সাতক্ষীরা জেলার শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি তিন দশক অতিক্রম করেছে, যা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাতক্ষীরার শিক্ষার্থীরা একটি পরিবার হিসেবে একে অপরের পাশে থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।

নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অতিথিরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে এবং কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়ানো যাবে না। শিক্ষায় মনোযোগী থেকে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।

প্রবীণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তারা বলেন, আগামীর দিনগুলো আরও চ্যালেঞ্জের হবে। তাই জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে এক প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয় এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।