সারাদেশ

উত্তরণ পাবনার আয়োজনে ‘একুশের চেতনা ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত

উত্তরণ পাবনার আয়োজনে ‘একুশের চেতনা ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত : ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সন্ধ্যা ৬:৩৬

দেশের অন্যতম সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন উত্তরণ পাবনা-র আয়োজনে ‘একুশের চেতনা ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা ও কবিতা পাঠের এক বিশেষ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পাবনার সমবায় মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় উত্তরণ পাবনার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উত্তরণ পাবনার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, কবি, গীতিকার ও বাচিকশিল্পী আলমগীর কবীর হৃদয়। এতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আলোচনা ও কবিতা পাঠ করেন দেশের খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ, কবি, গবেষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা।

অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর আব্দুদ দাইন সরকার, প্রফেসর জামাল উদ্দীন, নদী গবেষক, কবি ও প্রাবন্ধিক ড. মুনসুর আলম, শিক্ষাবিদ ও কবি এনামুল হক টগর, মুক্তদৃষ্টি সাহিত্য পরিষদের সভাপতি কবি ও সাংবাদিক শফিক আল কামাল, কবি ও বাচিকশিল্পী সাইফুল কামাল, কবি মুহাম্মদ বেলাল হোসেন, কবি সেলিমা সুলতানা, কবি ও সাংবাদিক হুমায়ূন কবির, আরশীনগর বাউল গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, উত্তরণ পাবনার সাংগঠনিক সম্পাদক রাফিদ আহমেদ, সাহিত্য সম্পাদক কবি নীলিমা নীল, সহ-সাহিত্য সম্পাদক সৈয়দা সোনিয়া খাতুন, কবি বেলাল, কবি পত্নী জেসমিন আক্তার, সাথী আক্তার এবং শিশু আবৃত্তিকার তাসনিম নাওয়ার শ্রেয়সী।

আলোচকরা বলেন, একুশের চেতনাই মূলত আমাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সূতিকাগার। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি, যা আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় আমরা গর্বিত জাতি হিসেবে সারা বিশ্বে সম্মানিত হচ্ছি।

অনুষ্ঠানে একুশের চেতনা, মাতৃভাষার মর্যাদা, ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ওপর গভীর আলোচনা হয়। আলোচনার পাশাপাশি অতিথিরা একুশের কবিতা পাঠ করেন, যা উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে এক আবেগঘন মুহূর্ত তৈরি করে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি আলমগীর কবীর হৃদয় বলেন, ভাষা আন্দোলনের চেতনা আমাদের জাতীয় চেতনাকে সমৃদ্ধ করেছে। একুশের পথ ধরেই স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং চূড়ান্ত বিজয় এসেছে। তাই একুশের চেতনা আমাদের মধ্যে চির জাগরূক থাকতে হবে।

সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে উত্তরণ পাবনার এ ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।