বুকের ভিতর দারুণ ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর"—এই স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠা ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় চেতনার অংশ হয়ে উঠেছে "জুলাই বিপ্লব।
২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসে হওয়া আন্দোলন কেবলমাত্র একটি দাবি আদায়ের লড়াই ছিল না; এটি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার এক ঐতিহাসিক বিপ্লব। কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে গণজাগরণের সূচনা হয়েছিল, তা স্মরণীয় করে রাখার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় লংগদু উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার কফিল উদ্দিন মাহমুদ। সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল ইসলাম পাটোয়ারী, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য মিনহাজ মুরশীদ, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির লংগদু উপজেলা সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
সভায় বক্তারা লংগদু উপজেলার বিভিন্ন সমস্যা, যেমন রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন, সংযোগ সেতুর নির্মাণ, নানিয়ারচর সংযোগ সড়কের উন্নয়নসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন। এসব সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। তিনি বলেন, নানিয়ারচর সংযোগ সড়কের উন্নয়নে জোরালোভাবে কাজ করা হবে এবং দ্রুত উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
এছাড়া, সভার শেষ পর্যায়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র আমানুল্লাহ, কাদের, ওসমান ও হারুনের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন জেলা প্রশাসক। সভায় অংশগ্রহণকারীরা এই বিপ্লবের তাৎপর্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন এবং সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের স্বার্থরক্ষায় একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
মতামত