ছবি : ছবি: সংগৃহীত
সাগরে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিদেশি জাহাজে জ্বালানি তেল সরবরাহের সময় পানামার পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ ও বাংলাদেশের একটি অয়েল ট্যাংকার আটক করা হয়েছে। আটক করার আগ পর্যন্ত ৩৫৬ টন জ্বালানি তেল বিদেশি জাহাজটিতে সরবরাহ করা হয়। কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার উপকূলবর্তী সাগরের বহির্নোঙ্গর এলাকায় অবৈধভাবে জ্বালানি তেল আদান-প্রদান ও আটকের এই ঘটনা ঘটে গত মঙ্গলবার দুপুরে।
কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান,কোস্টগার্ডের জাহাজ ‘অপূর্ব বাংলা’ শনিবার সকাল থেকে কুতুবদিয়া বহির্নোঙ্গর এলাকায় সাগরে নিয়মিত টহল দিচ্ছিল। এক পর্যায়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বাংলাদেশি অয়েল ট্যাংকার ‘ওটি ইউনিয়ন’ থেকে পানামার পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ ‘এমটি ডলফিন-১৯’-এ জ্বালানি তেল সরবরাহ করতে দেখেন কোস্টগার্ড সদস্যরা। টহলরত কোস্টগার্ড সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এ বিষয়ে জাহাজ দুটির সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা কুতুবদিয়া উপকূলভাগের সাগরে নোঙর করা এবং জ্বালানি তেল সংগ্রহ কিংবা প্রদানের সপক্ষে বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।’
সিয়াম-উল-হক বলেন, ‘পানামার পতাকাবাহী বিদেশি জাহাজটি মোংলা সমুদ্রবন্দরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার সকাল ৭টায় জাহাজটি সেখানে না গিয়ে কুতুবদিয়া বহির্নোঙ্গর এলাকায় নোঙর করে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত বিদেশি জাহাজটি অবৈধভাবে বাংলাদেশি অয়েল ট্যাংকার থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করছিল। এভাবে বিদেশি জাহাজটি টানা সাত ঘণ্টায় প্রায় ৩৫৬ টন জ্বালানি তেল সংগ্রহ করেছে।’
বিপুল রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিদেশি জাহাজটিতে তেল সরবরাহ করা হচ্ছিল তথ্য দিয়ে কোস্টগার্ডের এই কর্মকর্তা বলেন বলেন, বাংলাদেশি ৯ জন ক্রুসহ জাহাজ দুটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মেরিন কোর্টের মাধ্যমে জাহাজ দুটির বিরুদ্ধে জরিমানা আদায়সহ ঘটনার ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
মতামত