রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তায় উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগেও দুইবার আনুষ্ঠানিকভাবে চুরি অথবা হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি)দুপুর ১২টায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুমে মোবাইল হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মোবাইল ফোনের মালিক ও উদ্ধারকারী অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন। আরএমপির পুলিশ কমিশনার জনাব মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান মহোদয় উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনগুলো প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দেন।
এসময় পুলিশ কমিশনার বলেন, হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করা অত্যন্ত জটিল ও সময়সাপেক্ষ বিষয়। রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনগুলোর জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় করা সাধারণ ডায়েরির (জিডি) তথ্যের ভিত্তিতে আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফোনগুলো উদ্ধার করেছে। এছাড়াও আরএমপির অন্যান্য থানা গুলোকেও হারানো মোবাইল উদ্ধার করতে প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে। গত জানুয়ারি মাসে আরএমপির সাইবার ইউনিট ৫২টি এবং আরএমপির অন্যান্য থানা ৬০টি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে।
তিনি আরো বলেন, অসচেতনতার সুযোগে প্রতারকচক্র অনেক সময় সাধারণ নাগরিকদের প্রতারণার জালে আবদ্ধ করে। পুরাতন মোবাইল ফোন কিনে অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। এজন্য তিনি যাচাই-বাছাই ছাড়া পুরাতন মোবাইল ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিরত থাকতে বলেন। তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি হারানো মোবাইল পুনরুদ্ধারে আরএমপির চেষ্টা অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতেও এই কার্যক্রম জোরদার করা হবে, যাতে নাগরিকরা আরও দ্রুত ও কার্যকর সেবা লাভ করতে পারেন।
এছাড়া, যদি কেউ ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ, অনলাইন প্রতারণাসহ বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধের শিকার হন, তবে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তা নিতে বলেন তিনি।
মোবাইল ফোনের মালিকরা ফোন ফিরে পেয়ে আরএমপির ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং কৃতজ্ঞচিত্তে পুলিশ কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা এই প্রয়াসকে আরও বিস্তৃত করার আহ্বান জানান, যাতে আরও বেশি মানুষ এই সুবিধার আওতায় আসতে পারেন।
উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনের প্রকৃত মালিকরা তাদের ফোন ফেরত পেয়ে পুলিশ কমিশনার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এছাড়া, পুলিশ কমিশনার গণমাধ্যমকে আশ্বাস দেন যে, যাদের নিকট ফোনটি পাওয়া গেছে, তারা প্রকৃত দ্বিতীয় বা তৃতীয় পক্ষ। তারা কোথায় থেকে বা কার কাছ থেকে ফোনগুলো কিনেছে, সেই ব্যাপারে তদন্ত করা হবে এবং চুরি বা ছিনতাইয়ের সাথে যুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মতামত