দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ঘন কুয়াশার কারণে সন্ধ্যার পর থেকেই ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। মহাসড়কে গাড়িগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে, তবে তীব্র শীতের কারণে রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে পৌর শহরের ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কে দেখা যায়, দূরপাল্লার বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকগুলো গতি কমিয়ে কুয়াশার মধ্যে চলাচল করছে। দুপুরে সূর্যের দেখা মিললেও পর্যাপ্ত উষ্ণতা নেই। বিকেল থেকে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করলে শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়।
তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ ও বয়স্করা। হিমশীতল বাতাসের কারণে সন্ধ্যার পর থেকেই রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়।
শীত নিবারণের জন্য অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করার চেষ্টা করছেন। তবে খেটে খাওয়া মানুষরা শীত উপেক্ষা করেই রিকশা, ভ্যান ও অটো চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
ভ্যানচালক আব্দুল ওহাব বলেন, গরীব মানুষের বসে থাকার উপায় নেই। সংসারের কথা ভেবে প্রতিদিন বাধ্য হয়ে রাস্তায় বের হতে হয়। যতই শীত হোক, দিন এনে দিন খাই।
দোকান ব্যবসায়ী হাতেম আলী জানান, শীতের কারণে সন্ধ্যার পর ক্রেতা কমে যায়, দোকান আগেভাগেই বন্ধ করতে হয়। আগের তুলনায় বেচাকেনা অনেক কমে গেছে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, শনিবার সকাল ৬টায় দিনাজপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২ কিলোমিটার।
এভাবে শীতের তীব্রতা অব্যাহত থাকলে নিম্ন আয়ের মানুষদের দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মতামত