টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের খাস গুনিপাড়া গ্রামে যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ দিয়েও কার্যকর কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে, উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, দ্রুতই এসব অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যমুনা নদীর পাড়ে ইতোমধ্যে নদীভাঙনের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সারি সারি বাল্কহেডের ওপরে বুস্টার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে করে স্থানীয় বাসিন্দারা ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হলেও কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না। কারণ, অভিযোগ রয়েছে যে, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী এই অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মামুন হোসেন বলেন, আমাদের আবাদি জমি ও সহায়-সম্পত্তি সব নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এখন শুধু বসতভিটাই টিকে আছে। কিন্তু নদীতে ড্রেজার বসিয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বালু উত্তোলন করছে, যা আমাদের বসতভিটের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ দিয়েও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা বাধা দিতে গেলে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তারা বলে, ‘প্রশাসন আমাদের পকেটে আছে, কেউ আমাদের কিছু করতে পারবে না।
সলিমাবাদ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মনির ভূঁইয়া জানান, এরা দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের অবৈধ কাজ চালিয়ে আসছে। তাদের বাধা দিলে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হুমকি দেয়। আমি উপজেলা প্রশাসনের কাছে এদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দ্বীপ ভৌমিক বলেন, আমরা ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ড্রেজার উচ্ছেদ করেছি। নাগরপুরের এই অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়টিও নজরে এসেছে। শিগগিরই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকাবাসীর দাবি, প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে যমুনা নদীর ভাঙনে আরও ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যাবে, যা স্থানীয়দের জীবনে ভয়াবহ দুর্যোগ বয়ে আনবে।
মতামত