সারাদেশ

লালপুরে একযুগ পরে বসন্তপুর বিলে জলাবদ্ধতা নিরসন

লালপুরে একযুগ পরে বসন্তপুর বিলে জলাবদ্ধতা নিরসন

প্রকাশিত : ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, রাত ১০:৩৮

নাটোরের লালপুর ও রাজশাহীর বাঘা উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের তৎপরতায় বসন্তপুর বিলের কৃষক ও পুকুর মালিকদের মধ্যে সমন্বয় করে এক যুগেরও বেশি সময় পরে নিরসন করা হলো বসন্তপুর বিলের পড়ে থাকা হাজার বিঘা জমির জলাবদ্ধতা। 

চন্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিলের কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানের জন্য প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছিলেন।

এ বিষয়ে একাধিক স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে বসন্তপুর বিলের জলাবদ্ধতা নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিলের কৃষকদের দীর্ঘদিনের সমস্যাটি সমাধানের জন্য তৎপর হয়ে ওঠে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় লালপুর উপজেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় বাঘা উপজেলা প্রশাসন, পুকুর মালিক, কৃষক ও অন্যান্য অংশীজনের সাথে আলোচনা করে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে বিলের ২৬টি পুকুরের পাড় কেটে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য কাজ শুরু করা হয়।

এ সময় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, বাঘা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, লালপুর থানা পুলিশ, চন্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও বাজু বাঘা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম, বিএসসি শিক্ষক জুয়েল, ফরিদ উদ্দিন, বিলের পুকুর মালিক ও কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন। বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে সহায়তা করায় নজরুল ইসলাম রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য উপজেলা প্রশাসনের উপর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিলের কৃষকরা জলাবদ্ধতা সমস্যায় ভুগছিলেন। অবশেষে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও অন্যান্য অংশীজনের সহায়তায় অস্থায়ীভাবে বিলের জলাবদ্ধতা নিরসন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বিএডিসির সেচ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে স্থায়ীভাবে বিলের জলাবদ্ধতার সমাধান হবে।