বাংলাদেশের বৃহত্তম জেলা রাঙামাটি ১০ উপজেলা নিয়ে গঠিত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা, জেলা শহর থেকে প্রতিটি উপজেলা চলাচলের একমাত্র চলার মাধ্যম পানি পথ। পানি পথ হলেও লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলা রাঙামাটি জেলা শহরের সাথে দূরত্ব অনেক বেশি। জেলা শহর থেকে লংগদু আসতে চার পাঁচ ঘন্টা আর বাঘাইছড়ি উপজেলায় পৌঁছাতে ১০ ঘন্টা সময়ও লেগে যায়। লংগদু উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। এতে শুষ্ক মৌসুমে বাড়ে জনদুর্ভোগ।
তাই স্থানীয়দের প্রাণের দাবী একটাই নানিয়ারচর হতে লংগদু সংযোগ সড়ক। সংযোগ সড়কটি হলে রাঙামাটি জেলা শহরের সাথে দুটি উপজেলার যোগাযোগ সন্নিকটে আসবে এবং দুটি উপজেলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রবৃদ্ধি হবে। যেখানে সড়কপথে বাঘাইছড়ি থেকে রাঙামাটি পৌঁছাতে ৩ ঘন্টা ও লংগদু থেকে ২ ঘন্টায় জেলা শহরে পৌঁছানো সম্ভব।
(২৪ জানুয়ারি শুক্রবার) উপজেলার জনসাধারণের এক সাক্ষাৎকারে জানা যায়, পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে সীমান্ত রাস্তা, যেখানে মাইলের পর মাইল রাস্তা হয়ে যাচ্ছে লংগদু হতে নানিয়ারচর সামান্য ৩৭ কিলোঃ রাস্তা নিয়ে এতো কেন সমস্যার সম্মুখীন এই নিয়ে মন্তব্য করেন লংগদু ও বাঘাইছড়ি দুই উপজেলা বাসীর জনসাধারণ।
নানিয়ারচর-লংগদু সড়ক নির্মিত হয়ে গেলে তিনটি উপজেলার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন সহজতর হবে তেমনি তিনটি উপজেলা উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত সহজিকরণসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিফলন ঘটবে। উপজেলার উন্নয়ন তখন হবে যখন জেলা শহরের সাথে চলাচল মাধ্যম সন্নিকটে হবে। অর্থনীতি উন্নয়ন শক্তিশালী করতে হলে আগে যোগাযোগ ব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে। আর এ উন্নয়ন শুধু লংগদু বাঘাইছড়ি ও নানিয়ারচর উপজেলা বাসীর নয়, পুরো পার্বত্য বাসীর।
স্থানীয়রা আরোও বলেন দীর্ঘদিন যাবৎ শুনে আসছি নানিয়ারচর সংযোগ সেতু হলেই দুটি উপজেলার চলাচল আরম্ভ হবে, সেতুটি দীর্ঘবছর চালু হলেও সংযোগ রাস্তার আজও কোনো পদক্ষেপ নেই। পার্বত্য অঞ্চলে অনেক বড় বড় রাস্তাঘাট সহ উন্নয়ন মূলক কাজ চলমান থাকলেও নানিয়ারচর হতে লংগদু সংযোগ সড়কটি না হওয়ার পিছনের কারণ ও বাঁধা এখনও জানতে পারিনি। কারা এই সংযোগ রাস্তাটির কাজ না হওয়ার পিছনে বাঁধা সৃষ্টি করছে। এই নিয়ে সমালোচনার ঝড়, নানান জল্পনা, কল্পনা চলছে তিন উপজেলার সাধারণ মানুষের, লংগদু উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এবি এস মামুন বলেন, লংগদু উপজেলা একটি দুর্গম অঞ্চল সড়ক বিভাগ, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক , উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ সকলের সহযোগিতা পেলে লংগদু উপজেলার সঙ্গে নানিয়ারচর উপজেলার সংযোগ সড়কটি নির্মিত হলে এ অঞ্চলের উন্নয়ন বহুগুণ বেড়ে যাবে। ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালী অঞ্চলে পরিণত হবে এই তিনটি উপজেলার মানুষ।
দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হলে তিন উপজেলার বাসিন্দাদের যেমন জেলা সদরের সঙ্গে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে, তেমনি মানুষের জীবনমানে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হবে।
মতামত