এন্টিমাইক্রোরিয়াল রেজিস্ট্যান্স সমস্যা প্রতিকার ও এন্টিবায়োটিক সেবনের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে খাগড়াছড়িতে এক বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) “স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে চাই সমতা, জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণ”—এ প্রতিপাদ্য নিয়ে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়। এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে “বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ” এর সহযোগিতায় জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম ও জাবারাং কল্যাণ সমিতির যৌথ উদ্যোগে।
জাবারাং কল্যাণ সমিতির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর বিনোদন ত্রিপুরার সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ছাবের।
সভায় প্রধান অতিথি ডা. মোহাম্মদ ছাবের এন্টিবায়োটিকের মাত্রাতিরিক্ত সেবনের ভয়াবহ প্রভাব তুলে ধরে বলেন, অতিরিক্ত ও অনিয়ন্ত্রিত এন্টিবায়োটিক সেবনের ফলে মানবদেহে ঔষধের কার্যকারিতা কমে যায়। এতে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় জটিলতা বাড়ে এবং মানবদেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। তাই ডিগ্রিধারী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বাজারের ফার্মাসিস্ট বা পল্লী চিকিৎসকের সুপারিশে এন্টিবায়োটিক গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
সভায় বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের নিউরো-মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ মোঃ রুবেল, জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা।
এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলার পল্লী চিকিৎসক, ফার্মাসিস্ট, ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন মন্দিরের পুরোহিত, মাদ্রাসার আলেম, ছাত্র প্রতিনিধি এবং জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম ও স্বাস্থ্য অধিকার যুব ফোরামের সদস্যরা।
সভায় বক্তারা এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের নিয়মনীতি মেনে চলার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এমন কার্যক্রম নিয়মিত পরিচালনার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভার মাধ্যমে উঠে আসা দিকনির্দেশনা ও সচেতনতার বার্তা খাগড়াছড়ি জেলার স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মতামত