রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জিসান হত্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১২ নেতা কর্মীকে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর ২৪ নারায়ণগঞ্জ আদালতে আলমগীর হোসেন
মোল্লা বাদী হয়ে নাঈম (২৪) পিতা,কামাল, কামাল (৫২) পিতা-অজ্ঞাত সহ মোট ৩০ জনকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাত আরো১৫/ ২০ জন। বিএনপির প্রবীণ নেতা তাইজুল ইসলাম, তাইজুল ইসলামের দুই পুত্র সনজিব, সাগর, অংকন ভুইয়া,,নুরু লিমন, ভুইয়া, সৈকত ভুইয়া,নাফিজ ভুইয়া, তানজিল ভুইয়া,রোমান,সায়মন ,রাকিব মোল্লা, নজরুল ও শান্ত মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এক বিবৃতীতে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনির বলেন, রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১২ নেতা কর্মীকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।এ ঘটনাকে উদ্দেশ্য প্রনোদিত অভিহিত করে দায়ের কৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের ূ দাবি জানান।
যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। এ ঘটনায় কুচক্রী মহল আরও ক্ষিপ্ত হয়ে সম্পূর্ন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তাদের হয়রানি করার হীন উদ্দেশ্যে স্থানীয় আওয়ামী নেতাকর্মীদের যোগ সাজশে এবং প্রশাসনের কতিপয় অসৎ কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীতায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যার একটি মিথ্যা মামলায় সম্পৃক্ত করে। প্রকৃতপক্ষে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের হত্যা কান্ড ঘটেনি বন্ধুর হাতে খুন হয়েছে মর্মে আদালতে দায়ের করা হত্যা মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এস আই) আসাদ বলেন,আমি প্রাথমিক ভাবে তদন্ত করে পেয়েছি জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জিসানকে হত্যা করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৩০ জুলাই মিঠাব সিকদার বাড়ী এলাকায় সড়কের পাশে জমি কেনা--বেচা কে কেন্দ্র করে বন্ধুর ছুড়ির আঘাতে নিহত হন দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ডিগ্রির ছাত্র তাওহিদুল আলম জিসান ভুলতা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলমগীর মোল্লার পুত্র । তারমধ্যে বিএনপির প্রবীণ নেতাসহ ১২ জন বিএনপি অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীবলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য গাজী গোলাম দস্তগীর (৭০) রূপগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন (৫২) দাউদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর মাষ্টার ( ৫৮) সহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। ওই মামলায় রূপগঞ্জের ভুলতা ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক নেতা তাইজুল ইসলাম,২ নং ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি নজরুল মোল্লা বিএনপির ২নং ওয়ার্ডের ছাত্র দলের সভাপতি অংকন ভুইয়া, ২নং ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নুরু,লিমন যুবদলের সদস্য, সনজিব যুবদলের সদস্য, নাফিজ ভুইয়া ছাত্র দলের সদস্যকে আসামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এ মামলাকে মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক অ্যাখ্যা দিয়ে যুবদল কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রকৃত আসামি কে আড়াল করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়া হবে। জিসান হত্যার ১ মাস ১০ দিন পর আগের ২ জনসহ ২৮ জনকে আাসামী করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রূপগঞ্জের বিএনপির সকল নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেছে। ফ্যাসিস্ট সরকার পতনে তারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। সেই সকল বিএনপির নেতাকর্মীরা দায়েরকৃত এ মামলায় কীভাবে আসামী করা হয় তা আমার বোধগম্য নয়।’
এর আগে গত ৩০ জুলাই মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার সময় সিকদার বাড়ির পাশে ঘাতক নাঈম জিসানকে ছুড়ি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে পালিয়ে যায়। তৎক্ষনাৎ তাদের মধ্যে বন্ধু সৈকত অংকন, জহিরুল স্হানীয় মুড়াপাড়া একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হইলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
উল্লেখ গত ৩১ জুলাই আলমগীর মোল্লা বাদী হয়ে তাওহিদুল আলম জিসান নিহতের ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন এতে ১নং আসামী নাঈম ও তার পিতা কামাল । ঐ সময়ের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন,জমি কেনা-বেচা নিয়ে জিসান নিহত হয়েছে। এদিকে, আদালতে দায়ের করা হত্যা মামলাটি তাদেরকে ফাঁসানোর জন্য দায়ের করা হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আাসাদ বলেন,আমি প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে পেয়েছি। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জিসানকে হত্যা করা হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি সিআইডির অধীনে তদন্তাধীন রয়েছে।
মতামত