গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে নাটোর-১ আসনে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করতে মাঠ গোছানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে বিএনপি। লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলায় নিয়মিতভাবে ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এবং উপজেলা পর্যায়ে মতবিনিময় সভা ও কর্মী সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছে দলটি।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপি এ আসনে দুই শতাধিক কর্মী সমাবেশ সম্পন্ন করেছে। এসব সভায় ধানের শীষের প্রচার এবং গণসংযোগের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ ১৬ বছর পর মামলা, হামলা এবং নির্যাতনের ভয় কাটিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।
লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত নাটোর-১ (সংসদীয় আসন-৫৮) আসনটি ১৯৮৪ সালে সৃষ্ট হয়। নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, ১৯৮৬ সাল থেকে এ আসনে বিভিন্ন সময়ে স্বতন্ত্র, জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। তবে ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত এ আসনে বিএনপি নির্বাচিত হয়।
এ আসনটি বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও গত তিনটি ভোটারবিহীন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন ছিল। বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ব্যবহার করে দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, এবং চাঁদাবাজি চালিয়েছে। এছাড়া মাদক ও ইমো হ্যাকিং চক্র পরিচালনার অভিযোগও এনেছেন তারা।
লালপুর সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি বলেন, আগামী নির্বাচনকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে দলীয় কর্মকাণ্ড গুছিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তারেক রহমানের ৩১ দফা নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনী প্রস্তুতি চলছে।
লালপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হারুনার রশিদ পাপ্পা জানান, আওয়ামী লীগের শাসনামলে ১৬ বছর ধরে বিএনপির নেতাকর্মীরা সভা-সমাবেশ করতে পারেনি। তবে বর্তমানে ফজলুর রহমান পটলের কন্যা এ্যাড. ফারজানা শারমিন পুতুলের নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছি।
বাগাতিপাড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান বলেন, বাগাতিপাড়ায় বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ চলছে। প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে মতবিনিময় সভা ও কর্মী সমাবেশ সম্পন্ন হয়েছে।
লালপুর ও বাগাতিপাড়া থানা সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে কিছু নেতাকর্মী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয়।
স্থানীয় নেতারা বিশ্বাস করেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে নাটোর-১ আসনে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।
মতামত