কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের কোন্দলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলায় দলের নেতাকর্মীদের ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে।
মামলায় ২৫ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর পাশাপাশি রৌমারী উপজেলা বিএনপির পাঁচজন নেতাকর্মীকেও আসামী করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে নাম আসা নেতাকর্মীরা হলেন, রৌমারী উপজেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সুজাউল ইসলাম সুজা, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নুর মোতাকাব্বির স¤্রাট, জেলা ছাত্রদলের সদস্য এলাহী শাহরিয়ার নাজিম, রৌমারী সদর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামিম আহমেদ, এবং উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য শাকিল আহমেদ। তাদের মধ্যে শামিম আহমেদকে গত শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ মার্কার পক্ষে প্রচারের সময় রৌমারী বাজার থেকে বেহুলার চর যাওয়ার পথে দেশিও অস্ত্রসহ হামলা চালানো হয়। এতে প্রচার দলের কয়েকজন সদস্যসহ মামলার বাদীও আহত হন এবং মোটরসাইকেল, মোবাইল, টাকা ও হ্যান্ড মাইক ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
মামলার আসামী সুজাউল ইসলাম সুজা অভিযোগ করেন, গত ৭ জানুয়ারি উপজেলা কমিটি বিলুপ্তির পর দলীয় কোন্দলের কারণে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
অন্যদিকে, মামলার আরেক আসামী নুর মুতাকাব্বির জানান, তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের অত্যাচারের ফলে তিন বছর আগে দেশ ছেড়েছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে তার নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হলো।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ লুৎফর রহমান বলেন, বাদী এজাহার দিয়েছেন, এবং তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মতামত