সারাদেশ

সালথায় যুবদল নেতার বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ

সালথায় যুবদল নেতার বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ

ছবি : সালথায় যুবদল নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন দিলেন বিএনপি নেতার সমর্থকরা


প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, সন্ধ্যা ৬:৩৯ আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, সন্ধ্যা ৭:৩৪

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এক যুবদল নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপি নেতা এবং তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। 

আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের কিত্তা গ্রামে যুবদল নেতা হাসান আশরাফের বাড়িসহ তার সমর্থকদের অন্তত পাঁচটি বাড়িতে হামলা চালানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. নাসির মাতুব্বর এবং যুবদল নেতা হাসান আশরাফের মধ্যে বিরোধ চলছিল। গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নকুলহাটি বাজারে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে, যার ফলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন এবং এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা চলছিল।

রোববার সকালে নাসির মাতুব্বরের শতাধিক সমর্থক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে যুবদল নেতা হাসান আশরাফের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং তার একটি টিনের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এছাড়া হাসান আশরাফের সমর্থক স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজেদ মোল্যার দুটি ঘর, ইউনুস মোল্যার দুটি ঘর এবং শফিকের একটি দোকানও ভাঙচুর করা হয়।

এ ব্যাপারে যুবদল নেতা হাসান আশরাফ বলেন, শনিবারের সংঘর্ষের সময় আমি এলাকায় ছিলাম না, আমি তখন বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদ আপার সঙ্গে ছিলাম। তবুও আজ সকালে নাসির মাতুব্বর ও আব্দুল ওহাবের সমর্থকরা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।

উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক নাসির মাতুব্বর দাবি করেন, এই হামলার সাথে আমার লোকজন জড়িত নয়। হামলার সময় আমি আমার লোকদের ঠেকিয়ে রেখেছিলাম। ঘটনার পেছনে কে বা কারা জড়িত, তা আমি জানি না।

ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-নগরকান্দা) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, শনিবারের সংঘর্ষের পর আমরা দুই পক্ষের সমর্থকদের শান্ত থাকার জন্য বলেছিলাম এবং পুলিশও মোতায়েন ছিল। কিন্তু নাসির মাতুব্বরের গ্রুপের লোকজন এসে হাসান আশরাফসহ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। হামলাকারীরা অগ্নিসংযোগও করেছে। পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। এখন এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে।