অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, শেখ হাসিনার মতো আন্দোলনের খুনীদের খুঁজে এনে দেশে বিচার করা হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যেভাবে তার বাবার হত্যাকারীদের খুঁজে এনে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করেছেন, আমরাও ঠিক একইভাবে আন্দোলনের খুনীদের দেশে এনে আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার করব।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ও গণমাধ্যম’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন শফিকুল আলম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ইবিসাস) যৌথভাবে সেমিনারের আয়োজন করে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, “জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষায় বাংলাদেশ গড়ার প্রক্রিয়া চলছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে কাজ করছে। জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হচ্ছে।” শফিকুল আলম বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়টি এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে অর্ধভাগ ছাত্রীরা পড়াশোনা করে এবং এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজ অনেক ভালো। তিনি আরও জানান, আন্দোলনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা নেতৃত্ব দিয়েছে এবং এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
শফিকুল আলম বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের ইতিহাস সংরক্ষণ করতে হবে। বর্তমানে যে হলগুলো স্বৈরাচারের নামে নামকরণ করা হয়েছে, সেগুলো শহীদদের নামে পরিবর্তন করা প্রয়োজন।” তিনি আরও বলেন, "দেশের ভাবমূর্তি প্রকাশের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নজর দিতে হবে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাংগীর আলম, এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসাইন আল মামুন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচক ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বিশেষ সংবাদদাতা এস এম রাশিদুল ইসলাম।
এ ছাড়া সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাজমুল হক জায়িম, সাবেক সভাপতি এমদাদুল হক, বণিক বার্তার সিনিয়র রিপোর্টার ইমামুল হাছান আদনান, এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অত্যন্ত আলোচিত হয় এবং আলোচনা সেশনটিতে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
মতামত