সারাদেশ

কুড়িগ্রামে ‘মার্চ ফর ফেলানী’ পদযাত্রা: সীমান্ত হত্যার বিচারের দাবি

কুড়িগ্রামে ‘মার্চ ফর ফেলানী’ পদযাত্রা: সীমান্ত হত্যার বিচারের দাবি

প্রকাশিত : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, বিকাল ৩:৪১

কুড়িগ্রামের সীমান্তে কিশোরী ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচারসহ ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা বন্ধের দাবিতে ‘মার্চ ফর ফেলানী’ নামে একটি পদযাত্রা শুরু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় কুড়িগ্রামের কলেজ মোড় বিজয়স্তম্ভ থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়।

জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যৌথভাবে এই পদযাত্রার আয়োজন করেছে। কর্মসূচির শুরুতে সীমান্ত হত্যায় নিহত সকল শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই পদযাত্রার মাধ্যমে সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবি জানানো হবে। ফেলানী হত্যার বিচারসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে লিফলেট বিতরণ করা হবে। পথিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। ফেলানীর বাড়িতে গিয়ে তার কবর জিয়ারত করা হবে। পদযাত্রাটি শেষে নাগেশ্বরীর রামখানায় একটি পথসভা আয়োজনের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করা হবে।

পদযাত্রায় জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক আতিক মুজাহিদ, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আরিফ সোহেল, নির্বাহী সদস্য রিফাত রশিদ এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবদুল কাদেরও এতে অংশ নেন।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের কলনিটারী গ্রামের নুর ইসলাম ও জাহানারা বেগমের মেয়ে ফেলানী ভারতের ফুলবাড়ী সীমান্ত দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়। কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে থাকা তার মৃতদেহের ছবি দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ঘটনার ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এই হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও সম্পন্ন হয়নি।

এই পদযাত্রায় সীমান্ত হত্যা বন্ধ এবং ফেলানী হত্যাসহ সব হত্যার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে সম্পন্ন করা, সীমান্তে মরণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, ফেলানীর নামে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনের নামকরণ, নতুন পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন এবং কুড়িগ্রামের দরিদ্রতা দূরীকরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

এ কর্মসূচি কুড়িগ্রামের স্থানীয় জনগণ এবং বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।