ছবি : ডিসি অফিসে চাকরির সুবাদে দুর্নীতির পাগলা ঘোড়া হয়ে ওঠেন হাসেম: বানিয়েছেন অঢেল সম্পদ
অবস্থা বদলে যাওয়ার গল্প নিয়ে ফরিদপুরের আবুল হাসেম শিকদারের নাম সামনে আসে। মাত্র একযুগ আগে তার পরিবার ছিল দারিদ্র্যসীমার নিচে, বসবাস করতেন জরাজীর্ণ ঘরে।
কিন্তু ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে (ভূমি অধিগ্রহণ শাখায়) তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে চাকরি পাওয়ার পর তার জীবন বদলে যায়। হাসেম এখন একাধিক ফ্ল্যাট, গাড়ি, জমি এবং অঢেল সম্পদের মালিক। তবে তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে এই সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
হাসেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি চাকরির সুবাদে ভূমি অধিগ্রহণের সময় ব্যাপক দুর্নীতি করেন। ফরিদপুর-ভাঙ্গা মহাসড়কের চারলেন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে তিনি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। একাধিক স্থানে তার নামে জমি ও ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়া সিএনজি গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা ও তার পরিবারের সদস্যদের কাছে কোটি টাকার স্বর্ণালঙ্কার থাকার অভিযোগও রয়েছে।
গত বছর হাসেমকে দুর্নীতির অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় এবং দুদু কর্তৃক তদন্ত চলছে। তবে হাসেম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, তিনি জমি-জমা ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে বৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছেন।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা জানান, হাসেমের বিরুদ্ধে দুদু তদন্ত করছে এবং জেলা প্রশাসনও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট, কোনো দুর্নীতিবাজকে ছাড় দেওয়া হবে না।
মতামত