সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় ক্ষিরা চাষে কৃষকরা নতুন সম্ভাবনা খুঁজে পেয়েছেন। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া ক্ষিরা চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী হওয়ায়, দিন দিন এই ফসলের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা ধান বা অন্যান্য ফসলের চেয়ে ক্ষিরা চাষে ঝুঁকছেন।
তাড়াশ উপজেলার কোহিত, সাচানদিঘি, সান্দুরিয়া, সড়াবাড়ি, বারুহাস, দিঘুড়িয়া, দিয়ারপাড়া, তালম, নামো সিলেটসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে মাঠের পর মাঠ ক্ষিরার আবাদ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ৪৭০ হেক্টর জমিতে ক্ষিরার চাষ হয়েছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত ৩৬০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে, এবং এর পরিমাণ আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তেঁতুলিয়া গ্রামের কৃষক মোতালেব জানান, ক্ষিরা চাষে ভালো লাভ হওয়ায় জমি লিজ নিতেও সমস্যা হচ্ছে। দিঘুড়িয়া গ্রামের কৃষক নাজিম জানান, তিনি ২ বিঘা জমিতে ক্ষিরার চাষ করেছেন। এতে তার প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ও বাজার ভালো থাকলে তিনি ১ থেকে দেড় লাখ টাকার ক্ষিরা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। তবে ক্ষিরার জমিতে প্রচুর শ্রম দিতে হয় বলে বেশি জমি আবাদ করতে পারেননি।
তাড়াশের ক্ষিরা উৎপাদনের সুবাদে দিঘুড়িয়া, রানীর হাট, কোহিত, বিনসাড়া, বারুহাঁসসহ বিভিন্ন গ্রামে অস্থায়ী মৌসুমি হাট বসে। সবচেয়ে বড় হাটটি বসে দিঘুড়িয়া গ্রামে, যেখান থেকে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাকে ক্ষিরা ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ক্ষিরা চাষে কৃষকরা তাড়াশে উল্লেখযোগ্য সফলতা পেয়েছেন। এখানে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হয়। তাড়াশের মাটি ক্ষিরা চাষের জন্য আদর্শ হওয়ায় দিন দিন এর চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মতামত