শিক্ষাঙ্গন

বেরোবিতে সিট বণ্টন নিয়ে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ ৩ জন আহত

বেরোবিতে সিট বণ্টন নিয়ে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ ৩ জন আহত

ছবি : প্রধান ফটকের সামনে সংঘর্ষের মুহুর্ত


প্রকাশিত : ১০ জানুয়ারি ২০২৫, রাত ১:২৪ আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৫, দুপুর ১:০১

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বঙ্গবন্ধু হলে সিট বণ্টনকে কেন্দ্র করে ইতিহাস ও ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে রয়েছেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল "নিউজ সারাক্ষণ"-এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সোয়েব আকতার সাকিব, ইতিহাস বিভাগের মুন্না বিশ্বাস, এবং এমআইএস বিভাগের ইমরান হোসেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বঙ্গবন্ধু হলে সিট পুনঃবণ্টন নিয়ে প্রথমে ইতিহাস বিভাগের শরিফুল সুমন ও এমআইএস বিভাগের শুভর মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে এ নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য গেলে সোয়েব আকতার সাকিবকে হামলার শিকার হতে হয়। গুরুতর আহত সাকিবকে তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এরপর এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালানো হয়। এক পর্যায়ে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের ভেতরে অবস্থান নেন এবং ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা বাইরে অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষ চালিয়ে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিষয়টি তুচ্ছ হলেও ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী সাকিবের ওপর হামলা চালান। তাদের মধ্যে সাইদ, সবুজ, শুভ, পলাশ এবং রানা জড়িত বলে দাবি করা হয়।

অন্যদিকে, এমআইএস বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, ঘটনাটি তাদের এক সিনিয়র শিক্ষার্থী এবং সিএসই বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মধ্যে সিট বদল নিয়ে বিরোধের জের ধরে শুরু হয়। পরে ইতিহাস বিভাগের এক শিক্ষার্থী উগ্র আচরণ করলে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুই পক্ষ ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে, এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।