সিরাজগঞ্জের তাড়াশের নলুয়াকান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকা জান্নাতুল ফেরদৌসকে পেটালেন সহকর্মীর স্বামী বখাটে মোশারফ হোসেন মারুফ (৪২)। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌস।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নলুয়াকান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌস ও মোছা. আসমা খাতুন সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত। তাঁরা দু‘জনই স্থির করেন চলতি বছর উম্মুত্ত বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধীনে ¯œাতক শ্রেণীতে ভর্তি হবেন। যার আবেদন জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানোর দায়িত্ব নেন সহকারি শিক্ষিকা আসমা খাতুনের স্বামী মো. মোশারফ হোসেন মারুফ (৪২)। কিন্তু সহকারি শিক্ষিকা আসমা খাতুনের স্বামী মো. মোশারফ হোসেন মারুফ ফের স্ত্রীর মাধ্যমে জান্নাতুল ফেরদৌসের কাছে খরচ বাবদ টাকা দাবী করেন। কিন্তু জান্নাতুল ফেরদৌস আগে যেহেতু ৮৫০ টাকা দিয়েছেন। তাই পরে দাবী করা ৭০০ টাকা দেবেন না বলে জানিয়ে দেন।
শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে সহকারি শিক্ষিকাআসমা খাতুনের স্বামী মো. মোশারফ হোসেন মারুফ বিদ্যালয়ে আসেন। এসে অফিস কক্ষে ঢুকে প্রথমে আমার সাথে বাক-বিতন্ডায় জরান। তারপরও দাবী করা ওই ৭০০ টাকা দিতে আমি অস্বীকার করি। তখন তিনি রেগে গিয়ে টেবিলে রাখা ফাইল তুলে আমাকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন।পরে সেখানে থাকা বিদ্যালয়ের অন্য সহকারি শিক্ষকরা আমাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন। কিন্তু তাতেও সে নিবৃত্ত না হলে উপস্থিত শিক্ষকরা মোশারফকে ধাক্কাদিয়ে বের করে দিয়ে বিদ্যালয়ের কলাপসিবল গেট আটকিয়ে দিয়ে আমাকে রক্ষা করে।
পরে খবর পেয়ে শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী মাসুদ রানা ও স্বজনরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাড়াশ ৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে এসে চিকিৎসা দেন।
তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মোসাব্বির হোসেন খান জানান, মারধরের শিকার শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌস ঘটনার পর আমার অফিসে এসেছিলেন। তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি।
অভিযুক্ত মোশারফ হোসেন মারুফ জানান, কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ধাক্কা লেগে পড়ে গিয়ে দরজার সঙ্গে আঘাত পেয়েছেন সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌস।
মতামত