ছবি : সালথায় মামুনুল হক
আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে ত্যাগের নয়, বরং ভোগের বস্তু হিসেবে ব্যবহার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক।
তিনি বলেন, ইসলাম ক্ষমতাকে ভোগের বস্তু নয়, বরং ত্যাগের মাধ্যম হিসেবে দেখে। অথচ দেশের প্রচলিত রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ক্ষমতায় আসার পর নেতারা এবং তাদের আশেপাশের বেকার যুবকেরা চাঁদাবাজি ও লুটপাটে লিপ্ত হয়।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বড় লক্ষণদিয়া মাঠে মাওলানা ছায়েনুদ্দিন ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, দেশের তাগড়া যুবক, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও খেটে খাওয়া শ্রমিকদের হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। সেই সময় দেশের শাসকের জন্য ১২ পদের খাবার প্রস্তুত করা হয়েছিল, যা প্রমাণ করে যে তারা ক্ষমতাকে ভোগের বস্তু হিসেবে দেখেছিল।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে যারা যখন ক্ষমতায় আসে, তাদের চেহারার উজ্জ্বলতা বেড়ে যায়। আর ক্ষমতা ছাড়ার পর তা শুকিয়ে যায়। শেখ হাসিনার বয়স রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার সময় প্রতিবছর কমছে বলে মনে হতো, কিন্তু ক্ষমতা ছাড়ার মাত্র এক বছর পর তার চেহারা কেমন হয়, তা দেখার আহ্বান জানাই।
আল্লামা মামুনুল হক বলেন, ইসলামী রাজনীতি জাতিকে শেখানো হলে মানুষ বুঝত যে ক্ষমতা ভোগ-বিলাসিতার জন্য নয়। এতদিনের অন্যায় আচরণ আর চলবে না।
মহাসম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন হাফেজ মাওলানা রেজাউল হক বিন ছায়েনুদ্দিন। বক্তব্য দেন ঢাকার ঢালকানগর মাদরাসার মুহতামিম মুফতি জাফর আহমেদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ও বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, ফরিদপুর খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা আমজাদ হোসাইনসহ আরও অনেকে।
সম্মেলনে বক্তারা ইসলামের আদর্শকে জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং সমাজ থেকে অন্যায়, দুর্নীতি ও বৈষম্য দূর করতে ইসলামী রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
মতামত