পার্বত্য জেলা বান্দরবানে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবিতে শোভাযাত্রা, পথনাটক, ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে “সম্প্রীতির মিছিলে বান্দরবান” এই স্লোগানকে সামনে রেখে জেলার রাজার মাঠ থেকে শুরু হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এতে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নেন।
শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে পথনাটকের আয়োজন করা হয়। নাট্যকর্মীরা পার্বত্য জেলার বর্তমান পরিস্থিতি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রভাব তুলে ধরেন, বিশেষত পর্যটন শিল্পে এর নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আলোকপাত করেন। নাটকে পাহাড়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সকল সম্প্রদায়ের সহাবস্থান নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মারমা, ত্রিপুরা, ম্রো, বম, ও খুমী সম্প্রদায়ের নেতারা, মসজিদের ইমাম, বৌদ্ধ বিহারের ভিক্ষুসহ ছাত্র প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। তাঁরা পাহাড়ে উন্নয়ন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সন্ত্রাস নির্মূল ও শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
বক্তারা পার্বত্য অঞ্চলের কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামক সশস্ত্র সংগঠনের কর্মকাণ্ডের বিরূপ প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁরা জানান, সামান্য কয়েকজন বিপদগামী সশস্ত্র যুবকের কারণে উন্নয়ন ও পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বক্তারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ম্রো স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তনয়া ম্রো, বান্দরবান হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. জসীম উদ্দিন, শিক্ষাবিদ ক্যশৈপ্রু খোকা, হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক উনিহ্লা মারমা, বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লাল মুন থাং বমসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।
মতামত