ছবি : তীব্র শীতকালে তিস্তার যেন জন্য জনশূন্য হয়ে পড়েছে
দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ ও ব্যারেজ সংলগ্ন নদীর পাড় দিন দিন দর্শনীয় স্থান হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে। ঈদ এলেই তিস্তাপাড়ে হাজারও দর্শনার্থীর পদচারণা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে শীতকাল হাওয়া তিস্তার যেন জন্য জনশূন্য হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, তিস্তার বুকে স্পিডবোট ও লাল-নীল কাপড়ের ছাউনি লাগানো বেশ কয়েকটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলার কথা থাকলেও সেটি বন্ধ রয়েছে বর্তমানে।
রংপুর থেকে নীলফামারীর জলঢাকা হয়ে তিস্তা ব্যারেজের দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার। ব্যারেজের অদূরেই বাসস্ট্যান্ড, যেখান থেকে হেঁটে বা ভ্যান-রিকশাযোগে সহজেই নদীপাড়ে যাওয়া যায়। মূল অবকাঠামো লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় হলেও ব্যারেজটি ডালিয়া নামক স্থানের মধ্য দিয়ে নীলফামারী জেলাকেও সংযুক্ত করেছে।
রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে তিস্তাপাড়। সব বয়সী মানুষের ভিড় জমলেও এখানে আসে বেশিভাগই তরুণ-তরুণী।
ব্যারেজ এলাকার দোকানদার রফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদের সময়ে হঠাৎ করে লোকসমাগম হয়েছে যা বলার বাইরে। তবে বর্তমানে একমাস ব্যারেজ এলাকা প্রায় জনশূন্য।
দোয়ানী আনসার ক্যাম্পের সহকারী কমান্ডার আশিকুর রহমান আশিক বলেন, এখানে ঘুরতে আসা মানুষদের অবাধে চলাফেরার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তার সবটাই করার চেষ্টা করছি আমরা। পুলিশও এখানে কাজ করছে।
মতামত