কক্সবাজারের টেকনাফে বন বিভাগের কাজ করতে গিয়ে অপহরণের শিকার ৩ বনকর্মীসহ ১৯ জন শ্রমিককে মুক্তি দিলেও নতুন করে অপহৃত ৭ জনকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অপহরণকারীদের আস্তানা থেকে মুক্তি পাওয়া ১৯ জন ভিকটিম সোমবার সন্ধ্যায় নিজ নিজ বাড়িতে ফিরেছেন বলে জানা গেছে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) টেকনাফের জাদিমুড়া পশ্চিমের পাহাড় থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। তবে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) হোয়াইক্যং থেকে বাহারছড়া শামলাপুর যাওয়ার পথে পাহাড়ি ঢালায় অপহৃত নতুন ৭ জনের মধ্যে একজন সিএনজি চালক ও একজন অটোরিকশা চালক রয়েছেন। বাকিরা যাত্রী বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অপহৃতদের উদ্ধারে র্যাব, পুলিশ ও বন বিভাগের যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বাহারছড়া, হ্নীলা, রঙ্গীখালী, পানখালী, জাদিমুড়া ও দমদমিয়া এলাকার পাহাড় ঘিরে অভিযান চালানো হয়েছে। র্যাব-১৫ এর টেকনাফ সিপিসি-১ ও সিপিসি-২ হোয়াইক্যং টিম অভিযান পরিচালনা করছে। এছাড়া অভিযানে ড্রোন ব্যবহারের কারণে অপহরণকারীরা আটকের ভয়ে ভিকটিমদের মুক্তি দিয়েছে।
মুক্তি পাওয়া ১৯ জনের মধ্যে ৪ জন বাংলাদেশি এবং ১৫ জন রোহিঙ্গা। তারা দীর্ঘদিন অনাহারে থাকার কারণে অনেকেই শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২৭-এর মাঝি মোহাম্মদ নূর জানিয়েছেন, ভিকটিমদের সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানা যাবে।
হ্নীলা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, অপহরণের কারণে এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। তিনি অপরাধীদের আস্তানা চিহ্নিত করে শিকড় উপড়ে ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রয়োজনে স্থানীয়রাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে পাহাড়ে অভিযান চালাবে বলে জানান।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন, যৌথ অভিযানের চাপে পড়ে অপহরণকারীরা ১৯ জনকে মুক্তি দিয়েছে। তবে এখনও নিখোঁজ ৭ জনকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মতামত