চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ইরি-বোরো ধানের মৌসুম শুরু হওয়ায় ফসলি মাঠে বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভায় এ বছর ২২,৫১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে।
ইতিমধ্যে ১,৩৪০ হেক্টর জমিতে বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছে। রানীদিঘী গ্রামের কৃষক গোলাম রব্বানী জানান, ভালো ধান ফলাতে ভালো বীজতলা তৈরি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য উপযুক্ত জমি নির্বাচন, জৈবসার ব্যবহার, সেচ সুবিধা নিশ্চিত করা, এবং বীজতলার নিয়মিত যত্ন নেওয়া হচ্ছে।
চাষিরা জানিয়েছেন, অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাস বোরো ধানের বীজতলা তৈরির উপযুক্ত সময়। বীজ বপনের আগে ধান ৪৮-৭২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে অঙ্কুরোদ্গম করানো হয়। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা থেকে চারাকে রক্ষা করতে সাদা পলিথিন বা কলার পাতার ছাউনি ব্যবহার করা হয়।
মাকড়শন গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, এ বছর কৃষি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বোরো ধান চাষের খরচ অনেক বেড়েছে। তেল, সার, এবং কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি কৃষকদের জন্য বাড়তি চাপ তৈরি করেছে। এছাড়া, শ্রমিক সংকট এবং জমিতে জলাবদ্ধতা দূর করতে বাড়তি ব্যয়ের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ বছর সরিষার চাষও ব্যাপক হয়েছে, যা ১১,০০০ হেক্টর জমি জুড়ে বিস্তৃত। সরিষার পর এসব জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হবে। সঠিক সময়ে আবহাওয়া ভালো থাকলে এবং কৃষকরা পরিশ্রম চালিয়ে গেলে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মতামত