সারাদেশ

রায়পুরায় ধুলাবালির দূষণে অতিষ্ঠ জনজীবন

রায়পুরায় ধুলাবালির দূষণে অতিষ্ঠ জনজীবন

ছবি : সাদ্দাম উদ্দিন রাজ


প্রকাশিত : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, বিকাল ৩:০৭ আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, দুপুর ১:৫৮

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার প্রধান আঞ্চলিক সড়কটি যেন ধুলাবালির রাজ্যে পরিণত হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে দুর্গম চরাঞ্চলের সাধারণ মানুষ চলাচল করে, কিন্তু অতিরিক্ত ধুলাবালির কারণে স্থানীয় জনজীবন চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মুখে মাস্ক বা রুমাল ব্যবহার করেও সাধারণ মানুষ স্বস্তি পাচ্ছে না।

সড়কের অবস্থা এতটাই খারাপ যে যানবাহন চলাচলের সঙ্গে সঙ্গে ধুলার কুয়াশা সৃষ্টি হয়। প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, মাদ্রাসা, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, নরসিংদী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং কেন্দ্রীয় কবরস্থানের নিকটবর্তী এলাকাগুলোতেও একই অবস্থা। ফলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং পথচারীরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রধান সড়কের এই ধুলাবালির মূল কারণ হলো মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু। বালু বহনের জন্য দিনরাত বেপরোয়াভাবে ট্রাক্টর চলাচল করে, যার ফলে সড়কে বালু স্তূপ হয়ে থাকে। শুষ্ক মৌসুমে এ ধুলাবালি আরও প্রকট হয়ে ওঠে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করছে।

ধুলাবালির কারণে সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি এবং অ্যাজমার মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। চিকিৎসকরা বলছেন, দীর্ঘসময় এ ধরণের পরিবেশে থাকলে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ আদিল মাহমুদ বলেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন এবং এই বিষয়ে অভিযোগ পাননি। তবে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে এসিল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, খোলা ট্রাকে বালু পরিবহন জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং এটি পরিবেশ দূষণ করছে। এ ধরনের কাজ দণ্ডবিধির ২৯১ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তিনি আরও জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাধারণ মানুষের দাবি, অতিরিক্ত ধুলাবালির দূষণ থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক এবং সড়কটি চলাচলের উপযোগী করা হোক।