সারাদেশ

তাড়াশে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে বস্তায় আদা চাষে

তাড়াশে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে বস্তায় আদা চাষে

ছবি : তাড়াশে ২শতাধিক কৃষক বস্তায় আদা চাষ করেছেন


প্রকাশিত : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, দুপুর ২:৪৫ আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, সন্ধ্যা ৮:৫৮

পরিত্যক্ত জায়গায় কম খরচে কম পরিশ্রমে অধিক লাভ হওয়ায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বস্তায় মাটি ভরে আদা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। আদার সাথে সাথী ফসল হিসেবে অন্য সবজি করা যায় তাই ভালো লাভ হওয়ায় অন্য কৃষকদের মধ্যেও আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। মসলা এবং ভেষজ ওষুধ হিসেবে আদার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। এখন বাজারে দাম কিছুটা কম থাকলেও সারা বছরই বাজারে এর দামও বেশ চড়া থাকে। তাই পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে এবং বাড়তি আয়ের আশায়  তাড়াশের কৃষকরা বস্তায় আদা চাষ শুরু করেছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশে চলতি মৌসুমে প্রায় ২শতাধিক কৃষক বস্তায় আদা চাষ করেছেন। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ও ১টি পৌরসভায় কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় কৃষক আদা চাষ শুরু করেছেন।

উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের বিন্নাবাড়ি গ্রামের কৃষক রুবেল হোসেন জানান, এবারই প্রথম বস্তায় আদা চাষ করেছি। মাটির সঙ্গে গোবর সার, খৈল, ছাই, জিংক মিশিয়ে ৫০০ বস্তা বাড়ির পাশেই পরিত্যক্ত জায়গায় চাষ করেছি। ২৭৫ টাকা কেজি দরে যশোর থেকে দেশি বীজ আদা সংগ্রহ করে গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে বস্তার মাটিতে রোপণ করেছি। জানুয়ারি মাসের আদা উঠিয়ে বাজারে বিক্রি করতে পারবো। আমি বাড়ির পরিত্যক্ত ২ শতাংশের মতো জায়গা কাজে লাগিয়ে লাখ টাকা আয়ের আশা করছি।
রুবেল হোসেন আরো বলেন, রোপনের পর কোন রাসায়নিক সার ব্যবহার করিনি, শুধুমাত্র একবার ছত্রাক নাশক ব্যবহার করেছিলাম। বস্তা প্রতি এক কেজি থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত ফলন হয়। যেহেতু আমার দেশি জাতের আদা সেই কারনে এখানে দেড় থেকে দুই কেজি ফলন হবে বলে মনে করছি, তাতে ৮০০ থেকে ১০০০ কেজি আদা পাওয়ার আশা রয়েছে। বীজ হিসেবে বিক্রি করতে পারলে লাখ টাকার উপরে লাভ হবে। আর যদি বাজারে বিক্রি করি তাহলে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা লাভ হবে।