রোজিনা খাতুন অভিযোগে উল্লেখ করেন, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে তিনি ২০১৪ সালে দুই মেয়েকে নিয়ে হলে কাজ শুরু করেন। এরপর থেকে অভিযুক্ত রাজ্জাক তাকে বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দেন এবং তার মেয়েদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ার জন্য চাপ দেন। রাজি না হলে তিনি কাজ থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন।
২০২১ সালে রোজিনার ছোট মেয়েকে একা পেয়ে অভিযুক্ত রাজ্জাক তার শরীরে অশালীনভাবে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। লোকলজ্জার ভয়ে তখন বিষয়টি গোপন রাখেন রোজিনা। সর্বশেষ ১১ ডিসেম্বর রাজ্জাক আবারও তাকে কুপ্রস্তাব দিলে রোজিনা এ বিষয়ে তার আস্থাভাজন ছাত্রীদের জানান।
রোজিনা খাতুন বলেন, সে আমাকে ও আমার মেয়েদের দিয়ে তার যৌনলালসা পূরণের চেষ্টা করেছে। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সব সময় দুর্ব্যবহার করত। এখন আমি ও আমার মেয়েরা ভয়ে দিন কাটাচ্ছি। আমি তার বিচার চাই।
অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এটি একটি ষড়যন্ত্রমূলক প্রচেষ্টা।
এ বিষয়ে শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ কে এম শামছুল হক ছিদ্দিকী বলেন, আমি অভিযোগটি গতকাল পেয়েছি। আমরা হল বডি বসে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব। প্রয়োজনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
মতামত