সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে সালথায় বিক্ষোভ মিছিল

টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে নিরীহ মুসল্লিদের ওপর সাদ পন্থীদের হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে এবং দেশব্যাপী সাদ পন্থীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার  উলামা মাশায়েখ ও তাওহিদী জনতা।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) জুম্মা নামাজের পর বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসার তৌহিদী জনতা উপজেলার সদরের বাইপাস সড়কে এসে সমাবেত হয়।পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলার সদর বাজারের  প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাহিরদিয়া মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম মুফতি ইমরান হোসাইন, সালথা মডেল মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি রবিউল ইসলাম, ইমাম ও খতিব উপজেলা মসজিদ মুফতি মফিজুর রহমান, জহুরুল হক রহ মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা নেছারুদ্দীন, সালথা বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুল হান্নান, মুফতি আবু সাইদ, মাওলানা সাইফুদ্দিনসহ আরো অনেকে। এছাড়াও বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরাম, তাবলীগের সাথী এবং ইসলাম প্রিয় তাওহীদি জনতা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা সাদপন্থী কর্তৃক টঙ্গি ময়দানে হামলা চালিয়ে মুসল্লিদের হত্যা ও রক্তাক্ত আহত করার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘ভারতের মাওলানা সাদ বিভিন্ন সময় ভুল বয়ানের মাধ্যমে মুসল্লিদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে চলেছেন। তারা মসজিদ দখল করাসহ একের পর এক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। তারা পরিকল্পিতভাবে টঙ্গী ময়দানে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ হামলা করে ঘুমন্ত সাথীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। এতে চারজন শহিদ সহ অসংখ্য সাথী আহত, নিখোঁজ হয়েছে। অনেকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। যারা হামলা চালায় তারা কোনো ধরনের তাবলীগ?’

এ সময়  বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের আহবান থাকবে বাংলাদেশ থেকে দ্রুত সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ করতে হবে। টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে ওসামা গং এবং ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দ্রুত শাস্তি দেওয়া হোক। বক্তারা আরও বলেন, আজ থেকে রবিবার পর্যন্ত সময় দুই দিন সময় দিলাম যারা সালথা উপজেলায় এই পন্থী আছেন তারা তওবা করে সঠিক ভাবে ধর্মীয় আচার আচরণ মেনে চলবেন। যদি তওবা না করেন তাহলে সোমবার থেকে সাদপন্থী নিধন কর্মসূচি শুরু করব