সারাদেশ

গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে দুদকের অভিযান, একাধিক অনিয়মের প্রমাণ

গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে দুদকের অভিযান, একাধিক অনিয়মের প্রমাণ

প্রকাশিত : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, রাত ১:৩৯

গোপালগঞ্জে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান পরিচালনা করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অভিযানটি পরিচালনা করেন দুদকের জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান এবং সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায়, মো. সোহরাব হোসেন-সোহেল, উপসহকারী পরিচালক আফছার উদ্দিন এবং মো. আল-আমিন হোসেন।

অভিযানের শুরুতে দুদক টিম গোপনে হাসপাতালের আউটডোরে রোগী সেজে বিভিন্ন অনিয়মের ভিডিও ধারণসহ তথ্য সংগ্রহ করে। পরিদর্শনকালে দেখা যায়, হাসপাতালের আউটডোরে বেশিরভাগ ডাক্তার ও কর্মচারী অনুপস্থিত ছিলেন। এর ফলে অনেক রোগী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হন। এছাড়া, কয়েকজন ডাক্তার বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

হাসপাতালের এমআরই ও সিটি স্ক্যান মেশিন দীর্ঘ ৮-১০ বছর ধরে অচল রয়েছে। একটি সিন্ডিকেট ইচ্ছাকৃতভাবে মেশিনগুলোর মেরামত না করে জনগণকে বেসরকারি হাসপাতালে সেবা নিতে বাধ্য করছে। এক্স-রে মেশিনের ফিল্ম না থাকার অজুহাতে সাধারণ মানুষ এক্স-রে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া, হাসপাতালের কিছু কর্মকর্তা সার্টিফিকেট বাণিজ্যে জড়িত এবং পুলিশ কেস সংক্রান্ত মেডিকেল সনদ বিক্রি করা হচ্ছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

ইসিজি মেশিন ব্যবহারে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগও পাওয়া গেছে। চিকিৎসা সেবায় এই ধরনের অনিয়মের অভিযোগে দুদক তদন্তের জন্য কাজ করছে।

গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক জিবিতেশ বিশ্বাস বলেন, কিছু অনিয়ম থাকতে পারে, তবে তা প্রমাণ করা সম্ভব নয়। সময় নিয়ে তদন্ত করলে সঠিক তথ্য জানা যাবে।

দুদকের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান জানিয়েছেন, এই হাসপাতালটি দীর্ঘ সময় ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। ডাক্তাররা সঠিক সময়ে আসেন না এবং রোগীরা সেবা পাচ্ছেন না, আমরা এর তদন্ত করছি।

সাধারণ জনগণ এ অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, আমরা খুশি, আশা করি এখন থেকে গোপালগঞ্জের হাসপাতাল থেকে সঠিক সেবা পাবো।