গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আদিবাসী পল্লীতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনায় সাবেক এমপি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার এবং আদিবাসীদের বাপ-দাদার সম্পত্তি ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে আদিবাসী ও বাঙালিরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কাটামোড় এলাকায় আয়োজিত এই সমাবেশে সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাসকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মাস্টার, আদিবাসী নেতা ব্রিটিশ সরেন, প্রিসিলা মুরমু, সুফল হেমব্রম, স্বপন শেখ, হাজী নূরুল ইসলাম, বার্নাবাস টুডু প্রমুখ।
বক্তারা জানান, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর তৎকালীন এমপি আবুল কালাম আজাদ ও মহিমাগঞ্জ সুগার মিলের সংশ্লিষ্টদের নেতৃত্বে সাঁওতালদের উচ্ছেদের চেষ্টায় সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় তিনজন সাঁওতাল—মঙ্গল মারডি, রমেশ টুডু ও শ্যামল হেমব্রম নিহত হন এবং অর্ধশতাধিক আহত হন। সাঁওতালদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানো হয়।
বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, সাঁওতাল পল্লীর জয়পুরপাড়ায় নির্মিত বিদ্যালয়ের মাঠ পুনরায় দখলের চেষ্টা করছে চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা।
সমাবেশ থেকে সাঁওতালদের পৈতৃক ১,৮৪২.৩০ একর জমি ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি সাঁওতাল পল্লীতে হামলা, অগ্নিসংযোগ এবং তিনজন সাঁওতাল হত্যার ঘটনায় তৎকালীন এমপি আবুল কালাম আজাদসহ জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানানো হয়। এছাড়াও, সাঁওতাল সম্প্রদায়ের এসিল্যান্ড অবিদীয় মার্ডি হত্যার বিচারের দাবিও তোলা হয়।
সমাবেশের আগে আদিবাসী ও বাঙালিরা বিশাল মিছিল বের করে, যা গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়কের কাটামোড় এলাকায় প্রায় ৫ কিলোমিটারজুড়ে প্রদক্ষিণ করে।
বক্তারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে আদিবাসীদের জমি ফেরত ও দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় আরও বৃহত্তর আন্দোলনের মুখোমুখি হতে হবে।
মতামত