ছবি : সংবাদ সম্মেলন করেছে যুবদল নেতা রাসেদ আহমেদ।
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে মিথ্যা বানোয়াট, ভূয়া তথ্য অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে যুবদল নেতা রাসেদ আহমেদ।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার বুড়িমারী বাজর এলাকায় নিজ অফিসে সংবাদ সম্মেলন করেন বুড়িমারী ইউনিয়ন যুবদলের ওই সভাপতি।
সংবাদ সম্মেলনে যুবদল নেতা বলেন, সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত ১৫ ডিসেম্বর যুবদল নেতা রাসেদ আহমেদ দেখতে পান বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। নিউজে উল্লেখ রয়েছে যে যুবদল নেতা রাসেদ ফসলি জমির ফসল নষ্ট করে জমি দখল করেছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ নিয়ে তাৎক্ষনিক তিনি উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি অবগত করেন।
তিনি আরও বলেন, জমি সংক্রান্ত যে ২টি অভিযোগ করা হয়েছে সেই অভিযোগের অভিযোগকারীরাই জানেন না যে ওই যুবদল নেতার নাম অভিযুক্ত হিসেবে দেয়া হয়েছে। এমনকি ওই নেতাকে হয়রানি করতে এমনটা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ১৯ নভেম্বর উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কৃষক সাইদুল ইসলামের ভোগ দখলীয় ৫৫ শতক সরিষা ক্ষেত নষ্ট করে জবর দখল করেন রাসেদ। এদিন বেশকিছু দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীদের নিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে জমি দখলে নেন তিনি। এ বিষয়ে গত ১১ ডিসেম্বর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটিকে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাইদুল। একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কৃষক নুরুল ইসলামের মালিকানাধীন ৫৪ শতাংশ জমি গত ১০ ডিসেম্বর দখল করেন রাসেদ। দখলের সময় ওই ইউনিয়নের যুবলীগের সদস্য তার ভাই মুকুল হোসেনকে সঙ্গে নেন তিনি। নুরুল ইসলামও উপজেলা যুবদলের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
পরে গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে রাসেদের নির্দেশে বুড়িমারী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলামের কাছে ৬০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন ওই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড যুবদল সম্পাদক সহিদুল ইসলাম ও যুবদল কর্মী ডালিম। টাকা নাই জানালে, রাসেদের হাত থেকে বাঁচতে চাইলে টাকা দিতে বলেন তারা। এমনকি চাঁদা চাওয়ার কথা কাউকে বললে অবস্থা খারাপ করে দেওয়ারও হুমকি দেন তারা।
এদিকে নরুল ইসলাম সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুড়িমারী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি রাসেদ আহমেদ বিরুদ্ধে তিনি কোন অভিযোগ কোথায় দেমনি এমনি কি তিনি নিজেও জানেন না এ অভিযোগ সম্পর্কে।
মতামত