ছবি : নেই সংযোগ সড়ক, ৬ বছর ধরে অকেজো পড়ে আছে সেতু
ফরিদপুরের সালথা অপ্রয়োজনীয় স্থানে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে পরিকল্পনাহীনভাবে দুইটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সেতু দুইটির দুই পাশে মাটি ভরাটসহ রাস্তা না থাকায় এলাকাবাসীর কোনো উপকারে আসছে না।রাস্তাবিহীন সেতুগুলো কেন বা কার স্বার্থে নির্মাণ করা হয়েছে তার উত্তর খুঁজে পাচ্ছে না এলাকাবাসী। এর ফলে সেতুসংলগ্ন বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ছে। বর্ষার পানি আসার আগে সেতুগুলোর দুই পাশে রাস্তা নির্মাণের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সালথার ভাওয়াল ইউনিয়নের শেষ সীমানায় থাকা তুগোলদিয়া গ্রাম ও মাঝারদিয়া ইউনিয়নের শেষ সীমানায় থাকা কুমারপট্টি গ্রামের মধ্য দিয়ে বেদাখালী খালের ওপর ৩০ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামের আলমগীর মিয়ার বাড়ির সামনে পাকা সড়কের পশ্চিম পাশে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট প্রকল্পের অধীনে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে সেতু দুটি নির্মাণ করা হলেও, আজ পর্যন্ত সেতু দুটি দুপাশে রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি।
স্থানীয় তুলোগদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. হাবিব মাতুব্বর ও বকুল মোল্যা বলেন, বেদাখালী খালের ওপর সেতুটি ৫-৬ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে, তবে দুপাশে রাস্তা নেই।
এমনকি সেতুর গোড়া মাটিও ভরাট করা হয়নি। এটি আমাদের কোনো কাজে আসছে না। বর্ষায় সেতুর দুইপাশে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে কয়েকটি গ্রামের মানুষ পারাপার হয়। ছোট বাচ্চারা তো ভয় পেয়ে সেতু পার হতে চায় না।বর্ষার পানির আগে সেতুটির দুপাশে রাস্তা নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই।
খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা আজিজল শেখ বলেন, খারদিয়া গ্রামের আলমগীর মিয়ার বাড়ির সামনে সেতু নির্মাণের কোনো প্রয়োজন ছিল না। শুধু সরকারি টাকার অপচয় করা হয়েছে। রাস্তা থাকলে মানুষ সেতু পার হয়ে অন্তত মাঠে যেতে পারত। এভাবে সরকারি টাকা নষ্ট করা উচিত নয়।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না, তবে খোঁজ-খবর নিয়ে ওই সেতু দুটির দুপাশে রাস্তার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মতামত