কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় মাদক ও অবৈধ বিড়ি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। ভেড়ামারার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মাদক ও অবৈধ বিড়ির ব্যবসা ক্রমেই প্রকট হয়ে উঠছে, বিশেষ করে ধরমপুর, জুনিয়াদহ, বাহাদুরপুর, মোকারিমপুর, চাঁদগ্রাম এবং ভেড়ামারা পৌরসভায় এই সমস্যা বেশি।
বিগত দুই মাসে ভেড়ামারা উপজেলায় মাদক ও অবৈধ বিড়ির ব্যবসা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সীমান্তবর্তী দৌলতপুর উপজেলা থেকে মাদকসামগ্রী গাঁজা, ফেনসিডিল এবং টাপেন্টাডল ট্যাবলেট আমদানির কারণে এ অঞ্চলে মাদক ব্যবসায়ী এবং অবৈধ বিড়ি প্রস্তুতকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। বিকেল ৪ টার পর থেকে রাত ৭:৩০ পর্যন্ত মাদক ব্যবসায়ীরা ও সারারাতজুড়ে অবৈধ বিড়ি ব্যবসায়ীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
গত ১৩ ডিসেম্বর ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নে মাদক উদ্ধারের নামে দুদু নামক এক ব্যক্তির হত্যার ঘটনা ঘটে। যদিও তার পরিবার দাবি করে যে দুদু মাদক ব্যবসায়ী নয়, সে একটি চা দোকানদার, তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায় সে একজন মাদক ব্যবসায়ী। তার মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গেছে, ভেড়ামারা উপজেলার মাদক ও অবৈধ বিড়ি ব্যবসার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন যথেষ্ট কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। যদিও ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি যোগদানের পর মাদক এবং অবৈধ বিড়ি ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন এবং বেশ কিছু মামলাও দায়ের করা হয়েছে। তবে, স্থানীয় জনগণের দাবি, মাদক ব্যবসার পরিমাণ অতীতের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রশাসন যেন চোখ বন্ধ করে আছে।
এদিকে, ভেড়ামারা উপজেলার সু-শীল সমাজের সদস্যরা আশঙ্কা করছেন যে, এই পরিস্থিতি যদি চলতে থাকে, তাহলে পুরো উপজেলায় মাদক এবং অবৈধ বিড়ির ব্যবসা একটি বড় ধরনের সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।
মতামত