ব্যবসায়ী ও মৌচাক হোটেলের মালিক দুরুল হোদার মৃত্যুর পর তার দুইটি টেলিকম দোকান নিয়ে শুরু হয়েছে বিরোধ। দোকানগুলোর দখল নিয়ে তার ভাই ও ভাতিজাদের সঙ্গে স্ত্রী নুরজাহান খাতুন এবং তার সন্তানদের মধ্যে চলছে উত্তেজনা। এ ঘটনায় নুরজাহান ও তার সন্তানরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
গত ৩১ অক্টোবর দুরুল হোদা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পরই দুইটি দোকান দখলে নেন তার ভাই কবীর ও রুহুল এবং ভাতিজা রানাউল ইসলাম ও শাকিল। দোকানের চাবি চাইতে গেলে নুরজাহানকে হুমকি দেওয়া হয়।
নুরজাহানের অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ ডিসেম্বর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় তালা ভেঙে দোকান দুইটির দখল বুঝে পান নুরজাহান। তবে এ সময় তার মামাতো ভাই মারুফ হোসেনকে মারধর করে দখলকারীরা। গুরুতর আহত মারুফকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নুরজাহান জানান, আমার স্বামীর মৃত্যুর পর তার ভাই ও ভাতিজারা আমার স্বামীর সম্পত্তি দখল করতে চায়। তাদের কাছে চাবি চাইতে গেলে হুমকি দেওয়া হয়। এখন দোকান ফেরত পেলেও আমার সন্তানদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
অভিযুক্ত ভাতিজা রানাউল ইসলাম বলেন, চাচার কাছে আমাদের ২৭ লাখ টাকা পাওনা ছিল, তাই দোকান তালাবদ্ধ করেছিলাম। তবে কোনো প্রমাণ নেই।
শিবগঞ্জ থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া জানান, দোকান দুইটি বর্তমানে নুরজাহানের দখলে রয়েছে। তবে এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।
মতামত