সারাদেশ

আজ তাড়াশ হানাদার মুক্ত দিবস

আজ তাড়াশ হানাদার মুক্ত দিবস

প্রকাশিত : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, বিকাল ৩:৪৯

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সিরাজগঞ্জের তাড়াশ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে তাড়াশ এবং আশপাশের অঞ্চল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দখল থেকে মুক্ত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসী লড়াই এবং আত্মত্যাগের ফলেই এই দিনটি সম্ভব হয়েছিল।

১৯৭১ সালের ১১ নভেম্বর তাড়াশের নওগাঁ এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা অভিযান পাকিস্তানি বাহিনীকে চরমভাবে পরাজিত করে। যুদ্ধকালীন সংগঠন পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবিরের সর্বাধিনায়ক প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মির্জা এবং সহ-সর্বাধিনায়ক প্রয়াত গাজী ম. ম. আমজাদ হোসেন মিলনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা চলনবিল এলাকায় সংগঠিত হয়ে এই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ঐ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ১৩০ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয় এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান জানান, নওগাঁর যুদ্ধে পাক বাহিনী পরাজিত হওয়ার পর প্রতিশোধ নিতে ১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর তাড়াশের আমবাড়িয়া গ্রামে পাক বাহিনী ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালায়। সেদিন অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি তারা নির্বিচারে ১৩ জন গ্রামবাসীকে হত্যা করে।

শহীদদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন শহীদ ইয়ার মোহাম্মাদ, শহীদ মেহের মন্ডল, শহীদ কিয়ামত আলী, শহীদ জুব্বার ফকির, শহীদ সুলতান সেখ এবং শহীদ সফিজ উদ্দিন সেখ। এ ছাড়া সেদিন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন মাওলানা তাজ উদ্দিন ও দেছের আলী প্রাং।

অবশেষে, মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতা ও বীরত্বের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর তাড়াশ শত্রুমুক্ত ঘোষণা করা হয়। এই বিজয়ে তাড়াশের মুক্তিকামী মানুষ উল্লাসে মেতে ওঠে। দিবসটি স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তাড়াশবাসীর জন্য একটি গৌরবময় অধ্যায় হয়ে থাকবে।