নোয়াখালীর দ্বীপ হাতিয়ার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। বিশেষ করে চিকিৎসা ও অবকাঠামো উন্নয়নে অবহেলিত এ অঞ্চলের মানুষ প্রথমবারের মতো নতুন আশার আলো দেখতে শুরু করেছে। প্রায় ৮ লাখ মানুষের একমাত্র চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী ৫০ শয্যার হাসপাতালটিকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করার অনুমোদন দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে নদীভাঙন প্রতিরোধে ২১.৩ কিলোমিটার ব্লক বাঁধ নির্মাণের প্রস্তাবনা দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এ বিষয়ে নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইখতিয়ার বলেন, আমরা বহুদিন ধরে হাসপাতালটির উন্নয়নে কাজ করেছি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদের সহযোগিতা ও আপ্রাণ প্রচেষ্টার জন্য এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা দ্রুত কাজ শুরু করছি।
মেঘনার করাল গ্রাসে ইতোমধ্যে হাতিয়ার বিশাল অংশ বিলীন হয়ে গেছে। এখন বাকি অংশকে রক্ষা করতে প্রায় ১,৮০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। দ্রুত ২১.৩ কিলোমিটার জুড়ে ব্লক বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
হাতিয়ার অবকাঠামো উন্নয়ন ও ভূমিহীনদের জন্য গৃহায়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পাঁচটি রাস্তার উন্নয়ন কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, "হাতিয়ার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ছিল। কিন্তু এখন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সুন্দর হাতিয়া গড়ে তোলা হবে।
বিগত সময়ে হাতিয়ার মানুষ নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকলেও বর্তমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো তাদের জীবনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
মতামত