ছবি : তাড়াশে ২শ বিঘা জমি জলাবদ্ধতার শঙ্কা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে পুকুর খনন করা হচ্ছে, যা এলাকার শস্যভান্ডার খ্যাত চলনবিল অধ্যুষিত ওই অঞ্চলের কৃষকদের জন্য বড় ধরনের শঙ্কার সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনায় ২০০ বিঘা জমির চাষাবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের ভায়াট গ্রামে দুটি পুকুর খনন শুরু হয়। রাতে ভেকু মেশিন দিয়ে খনন কাজ শুরু করে পুকুর ব্যবসায়ী মতিউর ও রবিউল। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে আবারও শুরু হয় খননকাজ, যা সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত চলতে থাকে।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, পুকুর খননের কারণে পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে এবং এলাকার কৃষকদের আবাদি জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভায়াট গ্রামে শতাধিক কৃষকের ২০০ বিঘা জমি রয়েছে যেখানে বোরো, আমন এবং সরিষা আবাদ হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এই এলাকার জমি অত্যন্ত উর্বর এবং বেশিরভাগ জমিই তিন ফসলী। পুকুর খনন করার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা বলেন, তিনি আগেই ভায়াটসহ কিছু কিছু এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছেন, তবে রাতের বেলায় অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, পুকুর খননকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মতামত